হ্যাপী করিম, মহেশখালী প্রতিনিধি;

চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও উপজেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম শফি।

১৫ ই আগস্ট (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টার দিকে নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জানাজা শেষে ছোট কুলাল পাড়ায় কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত শফি (৪০) বড় মহেশখালী কুলালপাড়া এলাকার কামাল পাশার পুত্র।

জানাজা নামাজের পূর্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন..মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলহাজ জয়নাল আবেদীন, জেলা বিএনপি’ র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল আলম, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতা উল্লাহ বোখারী, বাংলাদেশ জামাতে ইসলামি’ র মহেশখালী উপজেলা শাখা আমির জাকির হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আহমদ উজ্জ্বল, সাধারণ সম্পাদক নিশান, জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম কাউন্সিলর, মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ও মরহুম শফি’র পিতা কামাল পাশা ও শফি’র ছোট ভাই দুবাই প্রবাসী শাহাজনা’ সহ প্রমুখ।

উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক ফরিদ মিয়া আরমান, যুবদল নেতা মকসুদুল আলম নিরু, আমান উল্লাহ আমান, এড আজিজুল করিম জয়, ছাত্রদল নেতা রিয়াদ, আবুল হাসেম’সহ পৌর ও উপজেলার বিএনপি’র, যুবদল, শ্রমিক দল ও ছাত্র দলের নেতাকর্মী, সর্বস্তরের জনগণ বরেণ্য এই তরুণ রাজনীতিবিদকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে জানাজার নামাজের হাজারো মানুষের ঢল নামে। এ সময় জানাজায় ইমামতি করেন মরহুমের মামা মাওলানা নুরুল হক।

উল্লেখ্য- গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিজয় মিছিল শেষে রাত ১১ টার দিকে বিএনপি নেতা শফি বাড়ি ফেরার পথে মহেশখালী পৌরসভার বানিয়ার দোকান এলাকায় তিনি হামলার শিকার হন। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে মহেশখালী হাসপাতাল পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল কিছু দিনপরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত হওয়ার আট দিন পর গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অডিও বার্তায় তার ওপর হামলার বর্ণনা দেন তিনি এতে বিএনপির নেতা সাবেক এমপি আলমগির ফরিদ ও বিএনপির একাংশের যুবদল নেতা নাহিদকে দায়ী করেন তিনি। এদিকে তাঁকে শেষবারের মতো একনজর দেখতে জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতা কর্মীদের ঢল নামে তাঁর গ্রামের বাড়ির জানাজার মাঠে।