এইচ এম রুহুল কাদের,চকরিয়া:

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কক্সবাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত চকরিয়ার একমাত্র শহীদ আহসান হাবীবের পরিবারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান।

বুধবার (২১ আগষ্ট) বিকাল ৪টায় চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ছড়ারকুল এলাকায় শহীদের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।

এদিকে জামায়াতের আমীর হিসেবে চকরিয়াতে প্রথম সফর উপলক্ষে চকরিয়া উপজেলা,চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতে ইসলামী ব্যাপক শোডাউন দেয়। আমীরে জামায়াত চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সকালে সড়ক পথে চকরিয়া আসার সময় একাধিক শহীদের কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। দুপুর ২টা থেকে তাদের প্রিয় নেতাকে একনজরে দেখার জন্য হারবাং-খুটাখালী পর্যন্ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবস্থান করে পথে পথে সংবর্ধনা দেন।

বিকাল ৩টায় চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রিজের উত্তর পাশ থেকে ৩শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ডা:শফিকুর রহমানকে গ্রহণ করে শহীদের কবরস্থান পর্যন্ত পোঁছে দেন নেতা-কর্মীরা । পরে ফাঁসিয়াখালী জরঝড়ি ব্রিজের পাশে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান। সামাবেশ শেষে শহীদের কবর জিয়ারত করে বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের ঈদগাহতে আরেকটি শহীদ পরিবারের সাথে সাক্ষাৎতের জন্য চকরিয়া ত্যাগ করেন ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন,কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা শাহজাহান,চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা শাহজাহান চৌধুরী,কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা নুর আহমেদ আনওয়ারী,কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারী এ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন । জেলা কর্মপরিষদ সদস্য হেদায়েত উল্লাহ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক। চকরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা আবুল বশর, পৌরসভা আমীর আরিফুল কবির,উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা ছৈয়দ করিম, পৌর সেক্রেটারী মাওলানা কুতুবউদ্দিন হেলালী। সমাবেশে শহীদ আহসান হাবীবের গর্বিত পিতা মো: হেলাল উদ্দিনসহ জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংক্ষিপ্ত সামাবেশে আমীরে জামায়াত বলেন, আমি শহীদ পরিবারের সাথে দেখা করে সকল শহীদের জন্য দোয়া নিতে এসেছি । সারাদেশে যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে শাহাদাৎ বরণ করছে তাদের ওয়াদা পালন করতে এসেছি। কোনো জল্লাদের কাছে বাংলাদেশের জনগণ মাথানত করেনি করবেও না। শাহজালাল, শাহ পরান,শাহ আমানত,শহীদ তিতুমীরের বাংলাদেশে কোনো দুর্বৃত্তের স্থান হবে না। বাংলাদেশের জনগণ অনেক জুলুম-নির্যাতন সহ্য করেছে,সেই জুলুমবাজদের কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে পায়ের নিচে দিয়েছে। হত্যা, অন্যায় জুলুম-নির্যাতনের হুকুমদাতা,বাস্তবায়নকারী, পরিকল্পনাকারী সকলের বিচার নিশ্চিত হলে শহীদের আত্মা শান্তি পাবে । আত্মহত্যা হারাম,কিন্তু মানুষের সাথে গাদ্দারি করে পালিয়ে যাওয়া তারচেয়ে জঘন্য কাজ। আমরা প্রতিহিংসা ও প্রশোধে বিশ্বাসী নয়, কিন্তু আঘাত করতে আসলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে আর যদি ষড়যন্ত্র হয়,তাহলে ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।