সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টের জরুরী তলবী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২১ আগষ্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড‘র চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কনফারেন্স রুমে সভায় ট্রাস্টিগণ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দীন ও গিয়াস উদ্দীন সিন্ডিকেট জবরদখলের মধ্যদিয়ে অবাধ নিয়োগ বাণিজ্য ও লুটতরাজ চালিয়ে একটি সম্ভাবনাময় বিশ^বিদ্যালয়কে নাম সর্বস্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। তারা দলীয় নেতা ও পরিবারের সদস্যদের
সমন্বয়ে ভুয়া ট্রাস্ট গঠন করে স্বৈরাচারি কায়দায় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ঠকিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড নিজেদের পকেটে ভরেছে। তারা আমাদের হাতে নিয়োগকৃত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকদের অন্যায়ভাবে বিদায় দিয়ে বিশ^বিদ্যালয়কে অধ্যাপক শূন্য করেছে।
ফলে বিপন্ন হয়েছে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ। এ নিয়ে ইউজিসি তাদেরকে একাধিকবার সতর্কও করেছে।

সভায় ট্রাস্ট সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক এস.এম. সাইফুর রহমান, মাহবুবা সুলতানা শিউলি, মোহাম্মদ আবদুল মাবুদ, মোহাম্মদ মুহসিন, সালেহা সুলতানা, অলিদ মাহমুদ, আবদুস সবুর, ডা. এএইচএম হামিদ উল্লাহ মেহেদী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ মুজিবুর রহমান বলেন, “২০২০ সালের ২ জুুন আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়েরের মধ্য দিয়ে ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সালাহ উদ্দীন আহমদ লকডাউন চলাকালে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নিজেকে উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠাতা দাবি করে অন্যায়ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় দখল করে নেয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বহু পূর্বেই উদ্যোক্তা/প্রতিষ্ঠাতা নির্ধারণ করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে দেশের প্রেক্ষাপট পরিবর্তিত হলে ছাত্রজনতা ও এলাকাবাসী সেদিনই তাদের প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দখলমুক্ত করে। দখলবাজচক্র সালাহ উদ্দীন আহমদ ও গিয়াস উদ্দীন গং পালিয়ে যায়।”

লায়ন মোঃ মুজিবুর রহমান আরো বলেন, “পালিয়েও শেষ রক্ষা হবে না দুর্নীতিবাজদের। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত লুটপাট ও অর্থ আত্মসাত করেছে, তার পুঙ্খানুপুুঙ্খু হিসাব দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের টিউশনের টাকা খেয়ে বেশিদিন লুকিয়ে থাকা যাবে না। আইনের আওতায় এনে বিচারের কাঠগড়ায় হাজির করে তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সভায় অতি দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানান্তর, প্রত্যেক ডিপার্টমেন্টে যোগ্য ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ ও ল্যাব সমৃদ্ধকরণে তলবী সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।