প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে অসংখ্য শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই আন্দোলনে অসংখ্য ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করেছে, চোখ হারিয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছে। এখন এই দেশকে গড়তে হবে। একটি জমি অযতেœ ফেলে রাখলে যেমন সেখানে আগাছার জন্ম হয়। ঠিক তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে না পারলে, প্রশাসনে ভালো মানুষের বিচরণ না থাকলে আগাছার মত করেই সবখানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজেরা গজিয়ে উঠবে। তাই আমাদের সচেতন থাকতে হবে। জামায়াতের কর্মীদেরকে দৃঢ়তার সাথে ময়দানে থেকে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দেশ থেকে যে দুর্নীতিবাজ গোষ্ঠী পালিয়েছে তারা যেন আগমীতে আগাছার মত বেড়ে উঠতে না পারে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে।

আজ ২৩ আগস্ট শুক্রবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কদমতলী পূর্ব থানার কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। থানা আমীর আতিকুর রহমান এর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আবদুল মান্নান, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন। থানা সেক্রেটারি ডাঃ রফিকুল আলমের সঞ্চালনায় আরোও উপস্থিত ছিলেন কদমতলী দক্ষিণ থানা আমীর ইঞ্জিনিয়ার হাবিবুর রহমান, থানা সেক্রেটারি ডাঃ রফিকুল আলম, কর্মপরিষদ সদস্য একাব্বর হোসেন, ইকবাল হোসাইন, নুরুল ইসলাম মনির, আতাউর রহমান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, তাদের সত্যিকার মুক্তির জন্য আমাদেরকে কাজ করে যেতে হবে। এদেশে ইসলামী আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত ও বিজয়ী করার মাধ্যমেই ছাত্র জনতার প্রকৃত মুক্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ বাস্তবায়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে বলেন, নিজেদেরকে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে জান্নাতের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। নিজেকে পরিশুদ্ধ পবিত্র রেখে সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য জান ও মালের কুরবানী দেওয়ার জন্য সর্বদাই প্রস্তুত থাকতে হবে। তাহলেই আমরা দুনিয়াতে কল্যাণ ও পরকালে মুক্তি নিশ্চিত করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।