সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
কক্সবাজারের রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা মো. আবুল কালামের অফিস কক্ষে ঢুকে জিম্মি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পদত্যাগপত্র নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১ জুন থেকে দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে কর্মরত আছেন মাওলানা মো. আবুল কালাম। দেশের পট পরিবর্তনের পর পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২৫ আগস্ট বিকালে স্থানীয় রাফাত আলম চৌধুরী, সাদ আল আলম চৌধুরী, আব্দুল আজিজ, মমতাজুল ইসলাম, আবদুছ ছালাম, আব্দুর রহিম, মোঃ জাহাঙ্গীর, শাহাজাহান, তারেক বিন হাসান, মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০/৬০ জন মাদ্রাসা অফিসে ঢুকে সুপার মো. আবুল কালামকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে কম্পিউটারে লিখিত আলাদা ৬টি সাদা কাগজের মধ্যে পদত্যাগপত্র লিখা সম্বলিত ও অন্যান্য লিখা কাগজে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও আলাদা অলিখিত ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার মো. আবুল কালাম বলেন, আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ৬টি লিখিত আলাদা সাদা কাগজে ও অলিখিত ৩টি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। যা আমার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি বলে ব্যবহার করে আমাকে চাকুরীচ্যুত করার আশংকা রয়েছে। এছাড়া তারা অফিসের চাবি নিয়ে মাদরাসা অফিসে আলমারির ড্রয়ারের তালা খুলে মাদরাসার চেক বই, মাদরাসার রেজুলেশন বই, ক্যাশ বই, শিক্ষক হাজিরা, শিক্ষা মন্ত্রাণালয়, মাদরাসার শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা বোর্ড, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তর হতে প্রেরিত সকল চিঠিপত্র, মাদরাসার জমির দলিল ও খতিয়ান, নগদ ১২ হাজার টাকা নিয়ে যায়। আমি মাদরাসা সুপার পদ হতে পদত্যাগ করিনি। জোরপূর্বক লিখিত পদত্যাগপত্র অন্যান্য লিখিত আবেদন আইনত অকার্যকর, বাতিল বলে গণ্য হবে। তাদের বিরুদ্ধে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।