কক্সবাজার সদরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টার দিকে সদরের পিএমখালি ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১০ পদাতিক ডিভিশনের ২ পদাতিক ব্রিগেডের ৯ ইস্ট বেঙ্গল কর্তৃক পরিচালিত সেনাবাহিনী, ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে একটি যৌথ বাহিনী কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালি ইউনিয়নে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দুটি বাড়ি ঘেরাও করে। ৫ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত এই অভিযানে যৌথ বাহিনীর সঠিক সিদ্ধান্ত ও দ্রুত পদক্ষেপের ফলে কোনো সন্ত্রাসী পালাতে সক্ষম হয়নি। তল্লাশি করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।
তল্লাশি চালিয়ে দুটি বাড়ি থেকে ৩টি এক নলা বন্দুক, ২টি এলজি, ২টি ৯-এমএম পিস্তল, ৩টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ৯ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ৩৯টি কার্তুজ, ৫টি দা, ১টি চেইন, ১টি চাইনিজ কুড়াল এবং ২টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অস্ত্রসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আসামিদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলমান।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন: কলিম উল্লাহ (৩৪), মো. খোরশেদ আলম (৩৭), মো. হাসান শরীফ লাদেন (২০), মো. শাহিন (২৩), মো. মিজান (২০), আব্দুল মালেক (৪৮), আব্দুল হাই (২৪) এবং আব্দুল আজিজ (২৫)।
জানা যায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজ এলাকা ও আশেপাশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। এই অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।