এইচ এম রুহুল কাদের, চকরিয়া:

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরানুল হকের ছোট ভাই অহিদুল আলমের বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারের প্রায় দশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে । ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০২১ সালে স্থানীয় অসহায় ১৫৩ পরিবার নিয়ে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পাহাড়ি এলাকার কালা চ্যান্দারমার ঘোনা সমবায় সমিতি নামের সমিতি প্রতিষ্ঠা করে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ওই পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান করে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবার। দিনমজুর-কৃষকদের অসহায়ত্বের সুযোগে মোটা অঙ্কের লাভ ও লোন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সমিতি গঠন করে। স্থানীয় সূত্রে আরো জানাজায়, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকা থেকে অসহায় মানুষ আসলে অহিদুল আলমকে ২-৩ লাখ টাকা দিয়ে এলাকায় অবস্থান করতে হয়। বনবিভাগের জায়গা হলেও অবৈধভাবে দখল করে প্রায় একশ খানি রিজার্ভ ভূমি।

তার কুনজর থেকে রেহাই পায়নি মসজিদও। জরাজীর্ণভাবে পড়ে থাকা স্থানীয় মসজিদ সংস্কার করার নাম দিয়ে চাঁদা সংগ্রহ করে ৭০ হাজার টাকা গায়েব করে ফেলে। তাছাড়া এলাকায় বিদ্যুতের মিটার ও সংযোগ দিবে বলে গণহারে চাঁদা তুলে প্রতি পরিবার থেকে ২-৩ হাজার করে প্রায় ৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। এমনকি কেউ মৃত্যু বরণ করলে কবরস্থ করতেও চাঁদা দিতে তাকে। তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। অসহায় পরিবারগুলো তাদের সঞ্চিত টাকা ফেরত চাইলে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করবে,হামলা ও মামলা এবং প্রাণহানির হুমকি দেয়।

সর্বশেষ গতকাল বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর) দপুর ১২টায় স্থানীয় হারবাং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের কালাচাঁদ মায়ের ঘোনা পূর্ব শান্তি নগরে বিশাল প্রতিবাদ ও মানববন্ধন করে। শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত হয়ে তাদের সঞ্চিত টাকা ফেরত চান।এবং প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন।

এই ব্যাপারে অহিদুল আলমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও মোবাইল বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। অহিদের বড় ভাই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরানুল হকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সমিতির টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে কিছু জানে না বলে উত্তর দেন।

এঘটনায় ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত চেয়ে চকরিয়া সেনাবাহিনী, চকরিয়া থানা, চকরিয়া নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।