শাহেদুল ইসলাম মনির,কুতুবদিয়া:

“জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে নারীরা জাগছে, জীবন ও জীবিকায় অবদান রাখছে” স্লোগানকে সামনে রেখে কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের নিয়ে “নারী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার বড়ঘোপ হোটেল সমুদ্র বিলাসে ইউএসএআইডি’র ইকোফিশ-২ উদ্যােগে দিনব্যাপী এ নারী সম্মেলনে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ইকোফিশ-২ প্রকল্পের চিফ অফ পার্টি ড. মোহাম্মাদ মোকাররম হোসেন ,বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, বাস্তবায়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে গঠিত বিভিন্ন দলের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কিত জ্ঞান, পুষ্টিকর খাবার ও পুষ্টি সম্পর্কিত আচরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণে নারীদের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা।

জানা গেছে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যদের জীবন ও জীবিকার মান উন্নয়নের জন্য ইকোফিশ টু ২০২০ সাল থেকে মোট ১৫,০০০ মৎস্যজীবী পরিবার নিয়ে কাজ করছে। যার মাধ্যমে নারীদের প্রশিক্ষণ, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বীকরণ, মৌলিক ব্যবসায় শিক্ষা, সাক্ষরতা ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান বৃদ্ধি এবং বাজারজাতকরণের সহায়তার, পুষ্টি ও জেন্ডার বিষয়ক সচেতনতা, সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তোলাসহ নানা বিষয়ে কাজ করছে প্রকল্পটি। মৎস্যজীবী পুরুষ সদস্যদের জন্য মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ও চর্চা প্রজেক্টের অন্যতম মূল উদ্দেশ্য। নানা ধরণের স্বেচ্ছাসেবীমূলক সংগঠন তৈরি, মৎস্যজীবীদের সংগঠন তৈরি, মাছ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে করণীয়, অবৈধ জাল ব্যবহার না করার ব্যাপারে সচেতন ও সচেষ্ট থাকা, পরিবেশের ভারসাম্য ও ইকোসিস্টেমের প্রতি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকা সহ নানা উন্নয়নমূলক কাজই ইকোফিশ টু-এর কর্মপরিকল্পনার অংশ। নারীর ক্ষমতায়ন এবং সঞ্চয়ী মনোভাব বৃদ্ধির জন্য নারীদের নিয়ে মোট ২২২ টি দল গঠন করা হয়েছে।