গত ২০ সেপ্টেম্বর দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় “ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখল নিতে সশস্ত্র হামলায় আহত ২, লুটপাট” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ডা. ছুরত আলম।
তিনি বলেন, ভারুয়াখালীতে চিংড়ি প্রজেক্ট দখল কিংবা হামলার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি। সংবাদটি ফ্যাসিবাদ ও আওয়ামী দখলবাজচক্রের মিথ্যাচারের অংশবিশেষ।
অভিযোগকারী আলহাজ্ব রশিদ আহমদ সম্পর্কে আমার চাচা। চাচি রোকেয়া বেগমের উপর হামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মূলত তিনি গত ১২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তাকে কেউ মারধর করেনি। এমন ঘটনাও ঘটেনি।
চিংড়ি প্রজেক্টে আমাদের মালিকানার স্বপক্ষে সমস্ত ডকুমেন্ট থাকার পরও বিগত প্রায় ১৫ বছর অবৈধভাবে জবরদখল করে রেখেছিলেন চাচা রশিদ আহমদ, বড় ছেলে জালাল আহমদ খোকন, সরওয়ারসহ একটি চক্র। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও চলমান আছে।
জালাল আহমদ খোকন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। বিগত স্বৈরশাসকের অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চিংড়িঘের ও লবনেরমাঠ দখল করে রেখেছিল। সে একজন চিহ্নিত অপরাধী হিসেবে এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত। ইতোমধ্যে তার অস্ত্র হাতে একটি ভিডিও, ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে সংরক্ষিত আছে।
মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দখলবাজ, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলে বেদখল জমি ফিরে পান প্রকৃত মানিকগণ। আমরা দখল বা হামলার অভিযোগ মোটেও সত্য নয়।
প্রকাশিত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ডা. ছুরত আলম।