বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার ও পরে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে গত জুলাই ও আগস্টে দেশে কতজন শহিদ ও আহত হয়েছেন তাদের সংখ্যা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য সচিব এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩ জন। এ বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা খুব দ্রুত করা হবে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফেসবুকে তিনি এ ভিডিও পোস্ট করেন।
তরিকুল ইসলাম বলেন, জুলাই বিপ্লবে শহিদের সংখ্যা ১৪২৩ জন। তবে এই সংখ্যাটা কম-বেশি হতে পারে। আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা খুব দ্রুত করতে সক্ষম হবো। আহতদের নিয়ে কাজ করাটা খুব দুরূহ। কারণ, এই সংখ্যাটা বিপুল। আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার আহত মানুষের তালিকা আছে। তবে এর সঙ্গে সংযোজন-বিয়োজন হবে।
এই সমন্বয়ক আরও জানান, আন্দোলনে গিয়ে পঙ্গু বা অঙ্গহানি হয়েছে এমন মানুষের সংখ্যা ৫৮৭ জন। গুলি লেগে আংশিক বা সম্পূর্ণ দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন ৬৮৫ জন। তাদের মধ্যে ৯২ জন দুই চোখেই গুলি খেয়েছেন বা দুই চোখই নষ্ট হয়ে গেছে।
এদিকে গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রত্যেক পরিবার এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং আহত প্রত্যেক ব্যক্তি প্রাথমিকভাবে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে পাবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার খরচ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দেবে। বুধবার জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চলতি সপ্তাহেই শুরু হয়েছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ এর জরুরি আর্থিক সহায়তা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে ১০০ কোটি টাকার ফান্ড প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল থেকে ফাউন্ডেশনে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।