এম.এ আজিজ রাসেল
কক্সবাজারে শেষ হলো ৭ দিনব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা। এবার মেলায় সাতদিনে প্রায় ১৫ হাজার চারা বিক্রি হয়েছে। যা থেকে আয় হয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকা।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, বৃক্ষ মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ বৃক্ষ নিধনে মেতে উঠেছে। তারা সমাজ ও দেশের শত্রু। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন ও জেলা শিক্ষা কর্মকতার্ মো. নাছির উদ্দিন।
মেলায় সরকারি—বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টল ছিল ৩৫টি। শেষ দিনের সকাল থেকেই মেলায় লোকসমাগম ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেল গড়াতেই দর্শনার্থীদের ভিড় দ্বিগুণ হয়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা সমীর রঞ্জন সাহা বলেন, ‘মানুষকে বৃক্ষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ। মানুষের মধ্যে গাছের প্রতি ভালোবাসা তৈরি করা এবং গাছ কেনায় উৎসাহিত করে এই মেলা। যাতে তারা দেশের সবুজায়নে অবদান রাখতে পারে।’
পরে মেলায় অংশ নেওয়া নার্সারি প্রতিনিধিদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এবার মেলায় প্রথম মেরিন এগ্রো প্রজেক্ট এন্ড নার্সারি, দ্বিতীয় ব্রাক নার্সারি ও তৃতীয় স্থান অর্জন করে সবুজ বন নার্সারি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।