নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাডেমি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (এআইটি) সুইচ কনটাক্ট এর অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের উদ্বোধন হয়েছে।

৭ জুন শহরের অভিজাত হোটেলের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. আতাউল গনি ওসমানি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার চেম্বার অফ কমার্স এর প্রেসিডেন্ট আবু মোরশেদ চৌধুরী।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর প্রিন্সিপাল প্রদীপ্ত খিশা, কক্সবাজার সিটি কলেজর ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান মইমুল হাসান পলাশ, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান।

এছাড়া ইউএন, ইন্টার ন্যাশনাল, ন্যাশনাল উন্নয়ণ সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় বলা হয়, এআইটি এ প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ৬০০ যুবদের মোট ৭টি কোর্সের উপর (হাউসকিপিং, ফ্রন্টডেস্ক ম্যানেজমেন্ট, এ্যাসিসট্যান্ট সেফ, ইলেকট্রিকাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স, প্লাম্বিং, ফুড এন্ড বেভারেজ সার্ভিস, এবং সিকিউরিটি গার্ড এন্ড সার্ভিসেস)।

প্রশিক্ষণের পর এআইটি তাদেরকে চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবেন বলেও জানান।

সভায় বিভিন্ন বক্তা হিজরা, প্রতিবন্ধী মানুষ ও নারীদেও বিষয়ে বিশেষ বিবেচনা করার অনুরোধ জানান।

বক্তারা জানান, হোটেল মোটেলসহ কক্সবাজারের সকল স্তরের মানুষ পর্যটনবান্ধব মানসিকতার উন্নয়ন না ঘটালে আগামী দিনে এ শিল্প খুব একটা বিকশিত হবেনা। পর্যটন শিল্পের সীমাহীন সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য আমাদেরকে সকলকে পর্যটকদের প্রতি আন্তরিক, দায়িত্বশীল ও অমায়িক আচরন দিয়ে আকৃষ্ট করতে হবে।

বক্তারা আরো জানান, প্রতিবছর কক্সবাজারে প্রায় ১ কোটি পর্যটকের আগমন ঘটে। শুধুই পর্যটনবান্ধব আচরনের কারণে পর্যটকদের একটি অংশ অসন্তুষ্ট হয়ে কক্সবাজার থেকে ফিরে যায়। তাতে ক্ষতি হয় কক্সবাজারের।

আমরা পর্যটন বান্ধব হতে পারলে প্রতিবছর ১ কোটির জায়গায় পর্যটকের সংখ্যা আরো অনেক বাড়ানো সম্ভব বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানটি সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে দুপুর ২টায় মধ্যাহ্ন ভোজের মাধ্যমে শেষ হয়।

বিভিন্ন কোর্সের ভর্তি সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন: https://www.facebook.com/AITBangladesh