মো. আরকান, পেকুয়া
অপহরণকারীদের হাতে নিহত স্কুল শিক্ষক মো. আরিফের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পেকুয়া শহীদ জিয়া ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে নামাজে জানাজায় রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষক, সহকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শোকার্ত জনতার ঢল নামে।

জানাজার আগে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব সালাহউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, খুনি যেই হোক তাকে তদন্ত করে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। যারা অন্যায় করবে তারা কখনো রেহায় পাবেনা। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। কোন নিরীহ মানুষ যেন মামলা অন্তর্ভুক্ত না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দৃঢ়তার সাথে ঘোষণা দেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।

জানাজার পূর্বে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য রাখেন, আরিফের ছোট ভাই রিয়াদ ইসলাম, চাচা এডঃ নুরুল হুদা, বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা এ.এইচ.এম. বদিউল আলম, পেকুয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট কামাল হোসেন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মঞ্জু, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী পেকুয়া উপজেলার সেক্রেটারী মাওলানা ইমতিয়াজ উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও টইটং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জেড.এম. মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মুজিবুল হক চৌধুরী,বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি ডিরেক্টর ও পেকুয়া সরকারি মডেল জি.এম.সি. ইনস্টিটিউশন এলামনাই এসোসিয়েশনের যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ, পেকুয়া উপজেলা কিন্ডার গার্ডেন এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মাওলানা হাসান রাব্বানী, শিলখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ইব্রাহিম, শিলখালী আইডিয়াল স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

আরিফের হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে ২৪ ঘন্টা আল্টিমেট দেন বক্তারা।

উল্লেখ, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টায় পেকুয়া সদরের ফায়ার সার্ভিসের সামনে থেকে অপহরণ হয়। গতকাল শুক্রবার টানা ১৪ দিন পর নিহত আরিফের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত জলাশয় থেকে তার বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার হয়।

নিহতের জানাজায় ইমামতি করেন বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা এ.এইচ. এম. বদিউল আলম।

জানাজার শেষে আরিফকে মাতব্বর পাড়ার পারিবারিক কবরস্থানে চিরসমাহিত করা হয়।