বলরাম দাশ অনুপম:
লাখো ভক্তের চোখের জলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। রোববার (১৩ অক্টোবর) পড়ন্ত বিকেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ধর্মীয় সম্প্রীতির এক অনন্য মেলবন্ধন রচিত হয়। দেশের সর্ববৃহৎ প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার লাখো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়।
সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশাল বিজয়া মঞ্চে আগত বক্তারা বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব বাঙালির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব হলেও এখন সেটি সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। জানা যায়, দুর্গাপূজার শেষ দিনে বিজয়া দশমীতে বিষাদ মনে হাজারো পূজার্থী, ভক্ত সাগরে অর্ধশত প্রতিমা বিসর্জন দেন। বেলা আড়াইটা থেকে ট্রাকবোঝাই করে আনা হয় প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে লাবণী পয়েন্টে নির্মিত হয় সুবিশাল বিজয়া মঞ্চ। বেলা ৩টা থেকে মঞ্চে চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয় দশমীর আলোচনা সভা। বিকেল ৫টায় মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়। সাড়ে ৫টার মধ্যে বিষাদ মনে একে একে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমাগুলো। এ সময় প্রতিমা বিসর্জন উপভোগ করতে সৈকতে উপস্থিত হয় লাখো পর্যটক ও পূজার্থী।
এর আগে কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উদয় শংকর পাল মিঠুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দীপক শর্মা দিপুর সঞ্চালনায় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন-পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক এইচএম সাজ্জাদ হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি লুৎফুর রহমান কাজল। এবার কক্সবাজার জেলায় ৩২১টি পূজা মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।