নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডের ছাদুঅং মার্মা পাড়ার ধাবনখালী খালে স্থানীয় বাঙালি যুবক কর্তৃক এক উপজাতি তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ছাদুঅং মার্মা পাড়ার মংহ্লাছিং মার্মার মেয়ে মাচ্যাখিং মার্মা (১৫) উক্ত পাড়ার ধাবনখালী খালে গোসল করতে যায়। ওই খালে গোসল করার এক পর্যায়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের যৌথ খামার এলাকার নুর মোহাম্মদের পুত্র মো:সেলিম (২৫) ও তার সহযোগী একই এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মতিউর রহমান (২৬) পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে ধর্ষক মো:সেলিম (২৫) পালিয়ে গেলেও অপর ধর্ষক মতিউর রহমান (২৬) কে জনতা হাতে নাতে ধরে বাইশারী পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আটক কৃত ধর্ষক মতিউর রহমানকে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ধর্ষক মো:সেলিম (২৫)কে ১৮ অক্টোবর পুলিশ অভিযান চালিয়ে আটক করে।
ধর্ষিতা মাচ্যাখিং মার্মা কে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নাইক্ষ্যংছড়ি থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জানা যায়, ধর্ষিতা মাচ্যাখিং মার্মা মানসিক ভারসাম্যহীন পাহাড়ি তরুনী। সন্ধ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি জোন সদর থেকে আনুমানিক ১৩ কিঃমিঃ উত্তরে এবং বাইশারী তদন্ত পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ১.৫ কিঃমিঃ উত্তরে বাইশারী ইউনিয়নের ০৬নং ওয়ার্ডস্থ ছাদুঅং মার্মা পাড়া সংলগ্ন ধাবনখালী খালে গোসল করতে গেলে বাঙালি এই দুই যুবক কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান,ভিকটিম ও তার পরিবার থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজুর পরই তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামিকে গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ৮ ঘণ্টার ব্যবধানে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বাইশারী থেকে মো: সেলিম কে আটক করা হয়।আসামিকে বান্দরবান আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।