সিবিএন ডেস্ক:
নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠনের জন্য দ্রুতই সার্চ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার কারা হবেন, তা নির্ধারণ করবে সার্চ কমিটি। এরপর ইসি প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করবে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমীতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সংলাপ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
মাহফুজ আলম আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে মূলত নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ ও তাদের শরিকদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সরকার এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না।
তিনি আরও যোগ করেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন কমিশন সংস্কার একসাথে চলবে। অতীতের তিনটি সংসদকে অবৈধ ঘোষণার বিষয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা হয়েছে। সেইসঙ্গে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়েও কথা হয়েছে।
ড. ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ৫ আগস্টের পর তিনদিন কোনো সরকার কার্যকর ছিল না এবং পুলিশ মাঠে ছিল না। তাই রাজনৈতিক নেতাদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে।
উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার জানান, উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রসারণের প্রস্তাব এসেছে, তবে প্রধান উপদেষ্টা নিয়ম মেনে সময়মতো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
প্রসঙ্গত, শনিবার চতুর্থ দফায় ১০টি রাজনৈতিক দল ও জোটের সাথে আলোচনায় বসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আলোচনায় অংশ নেওয়া দলগুলো হল: গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দল, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ জাসদ (শরীফ নুরুল আম্বিয়া), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট, এবং গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।