আব্দুস সালাম, টেকনাফ;

কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে একজন আসামিসহ ২৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এসময় এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ জালিয়াপাড়ার মৃত সুলতান আহমেদের মো. শফিউল আলম (৫৫)।

টেকনাফ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

তিনি জানান, রবিবার (২০ অক্টোবর) ভোরে গোপন সংবাদে ভিত্তিতে, শাহপরীরদ্বীপ বিওপির দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৪ হতে আনুমানিক ৮০০ মিটার দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে জালিয়াপাড়া নামক এলাকায় মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে চোরাকারবারিরা আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি একটি বাড়িতে লুকায়িত রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদরের একটি চোরাচালান প্রতিরোধ টহলদল দ্রুত জালিয়াপাড়া এলাকায় গমন করে পূর্বে প্রাপ্ত বর্ণনা অনুযায়ী সন্দেহভাজন বাড়িটিতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ঘেরাও করে তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত বাড়িতে অবস্থানরত সন্দেহভাজন একজন ব্যক্তি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিজিবি টহলদল উক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে আটককৃত চোরাকারবারির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বসত বাড়ির আঙ্গিনায় বালির বস্তার নিচে লুকায়িত অবস্থায় দুইটি ব্যাগের ভিতর থেকে ২৪০ রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ১টি রকেট বোম্ব, ২টি গ্রেনেড এবং ১টি কম্পাস উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য, উক্ত চোরাকারবারিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে উক্ত আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস মায়ানমার হতে পাচার করে নিয়ে আসে এবং অবৈধ উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে রাখে।

তিনি আরো জানান,আটককৃত আসামিকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্রের গোলাবারুদ, গ্রেনেড, রকেট বোম্ব ও কম্পাস চোরাচালানের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।