সিবিএন ডেস্ক ;

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্না সহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাচেষ্টা মামলায় মানবাধিকার আইনজীবী জেড আই খান পান্না কে আসামি করায় বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) আহত আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২) খিলগাঁও থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিকে হত্যাচেষ্টা মামলায় মানবাধিকার আইনজীবী জেড আই খান পান্না কে আসামি করায় বিভিন্ন মহল প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

আজ ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) পৃথক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

ব্লাস্টের বিবৃতিতে বলা হয়, “অ্যাডভোকেট জেড আই খান বৈষম্যের বিরুদ্ধে সর্বদা সোচ্চার এবং বলিষ্ঠ অবস্থান গ্রহণ করে এসেছেন। তিনি জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ভুক্তভোগী ছাত্র ও জনতার পক্ষে আদালতে নিরলসভাবে আইনি লড়াই লড়ে গেছেন। এছাড়াও অ্যাডভোকেট জেড আই খান জুলাই ২০২৪ ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন সময়ে অ্যাডভোকেট মানজুর আল মাতিন এবং এড আইনুন নাহার(বর্তমানে অতিরিক্ত বিচারপতি) এর দায়ের করা রিট মামলায় তাদের পক্ষে একজন আইনজীবী ছিলেন এবং ঐ সময় তৎকালীন রাষ্ট্রীয় পক্ষের আইনজীবী তাঁকে তাঁর এ ভূমিকার জন্য দেশদ্রোহী হিসেবে আখ্যায়িত করে আদালত কক্ষে হেনস্তা এবং অপমান করেন। আমাদের বিশ্বাস যে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা মূলত জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রকৃত ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের ন্যায় বিচারকে বাধাগ্রস্ত করবে।”

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, “ব্লাস্ট এ হত্যা মামলায় শুধুমাত্র হয়রানি করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীনভাবে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবং ব্লাস্ট এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট জেড আই খানের নাম প্রত্যাহারের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জোরালো আবেদন জানাচ্ছে।”