নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিছামারা এলাকায় অবৈধ কাঠ জব্দ কালে বন বিভাগের জাকের হোসেন (৬০) নামের এক নৈশ প্রহরী কাঠ পাচারকারীর হামলায় আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২অক্টোবর) দুপুর ১ টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ডের জামছড়ি এলাকায় থেকে ট্রাক যোগে কাঠ ব্যবসায়ী এম এ ছামাদ ১৫ ফুট কাঠ চিরাই করে বিক্রির উদ্দেশ্যে সদর এলাকার আবু তাহের কোম্পানির করাতকল নিয়ে যাওয়ার সময় পথে বন বিভাগের নৈশ প্রহরী জাকের আহমদ (৬০) তার গতি রোধ করে। ওই সময় কাঠ ব্যবসায়ী কাঠ এম এ ছামাদ (৫৫) নিজেকে সেনা বাহিনীর সাবেক সার্জেন্ট পরিচয় দিয়ে জাকের হোসনের দিকে তেড়ে আসে। এক পর্যায়ে কাঠ ও লাঠি দিয়ে জাকের হোসেনকে বেদম মারধর করে রক্তাক্ত করে। ওই সময় এম এ ছামাদ কর্তৃক মারধরে জাকের আহমদ গুরুতর আহত হয়।
পরবর্তীতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে আহত জাকের আহমদকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে। পরবর্তীতে জাকের হোসনের অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। আহত বন বিভাগের নৈশ প্রহরী জাকের আহমদ (৬০) নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বিছামারা গ্রামের মৃত সোলতান আহমদের পুত্র। হামলাকারী একই এলাকার গিলাতলী গ্রামের মৃত বাহার উদ্দিনের পুত্র এম,এ ছামাদ। এম,এ ছামাদ বৈবাহিক সূত্রে গিলাতলী এলাকার বাসিন্দা।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সম্পাদক জোবাইরুল হক বলেন, এম,এ সামাদ কর্তৃক বন বিভাগের নৈশ প্রহরীকে মারধরের ঘটনাটি দু:খ জনক। এই বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক বিচার কামনা করছি।
এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাক চালক নুরুল ইসলাম বলেন,আমাদের সামনে এম.এ সামাদ কাঠ ধরাকে কেন্দ্র করে বন বিভাগের নৈশ প্রহরী জাকেরকে পথের মধ্যে মারধর করে। আমরা একাধিকবার এম.এ সামাদকে থামাতে চেয়েও থামাতে পারি নাই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।