কক্সবাজারে লগি-বৈঠার শহীদদের স্মরণে জামায়াতের আলোচনায় মুহাম্মদ শাহজাহান

আটাশে অক্টোবরের লগি-বৈঠা হত্যাযজ্ঞের ‘মাস্টারমাইন্ড’ শেখ হাসিনা

প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:২৪

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


নিজস্ব প্রতিবেদক

জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক ছাত্রনেতা মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেছেন, ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার হত্যাযজ্ঞের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হলেন শেখ হাসিনা। তিনিই সেদিন ডাক দিয়েছিলেন সারাদেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের লগি-বৈঠা নিয়ে ঢাকায় আসতে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিবেক বিস্ময় নিয়ে সেদিন তাকিয়ে দেখেছিল আওয়ামী লীগ কীভাবে মৃত মানুষের উপর দাঁড়িয়ে কর্তন-কুর্তন করেছিল।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর দেশজুড়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লগি-বৈঠা তাণ্ডবে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার শহর শাখার আমীর আবদুল্লাহ আল ফারুখের সভাপতিত্বে কক্সবাজার ইনস্টিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরি হলে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি মুহাম্মদ শাহজাহান প্রশ্ন তুলেন, একাত্তর সালের মীমাংসিত বিষয় নিয়ে যদি দীর্ঘকাল পর বিচার করতে পারে আওয়ামী লীগ, তাহলে ২০০৬ সালের লগি-বৈঠা হত্যাকাণ্ডের বিচার কেন এতোদিন পর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করা যাবে না?

তিনি বলেন, সেদিন ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা আল্লাহর রাসুলের নেতৃত্বের অনুসারীদের মতো আমাদের নেতাদের সামনে মানবঢাল হয়ে রক্ষা না করতেন, হয়ত আমাদের অনেক নেতাকেই শাহাদতের অমীয় সুধা পান করতে হতো।

তাঁর মতে, জামায়াত ইসলামী ও ছাত্র শিবির ইসলামী আন্দোলনের কাঙ্ক্ষিত একটি কাফেলার নাম। এই কাফেলার পেছনে কাজ করেছে শত শত নেতা-কর্মীর খুন। এমনও আছে- তাদের কোথায় মৃত্যু হয়েছে, কোথায় কবরস্থ করা হয়েছে আমাদের জানা নেই। এভাবে অনেক ভাইকে গুম করে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে যদি স্বাধীনতার চেতনায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে নিতে হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদের শেকড় উপড়ে ফেলতে হবে। এ দেশে খুনিদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না, শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

এই আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমেদ আনোয়ারী।

কক্সবাজার শহর জামায়াতের সেক্রেটারি রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি জাহেদুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য জাফর উল্লাহ ইসলামাবাদী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কক্সবাজার জেলা সভাপতি শামসুল আলম বাহাদুর, কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার কামাল, শহর জামায়াতের নায়েবে আমীর কফিল উদ্দিন চৌধুরী, পেশাজীবী শাখা সেক্রেটারি কামরুল হাসান, শহর জামায়াত সাংগঠনিক সেক্রেটারি দরবেশ আলী, শহর শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি সরওয়ার কামাল সিকদার, সদর অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম প্রমুখ।