সিবিএন ডেস্ক
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে শারমিন আহমদ বলেছেন, শেখ পরিবারের কেউ আর রাজনীতিতে ফিরবেন না।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শারমিন আহমদ বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ দেশে মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছিল। শেখ হাসিনা বা তার পরিবারের কেউ আর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই।” তিনি শেখ হাসিনা এবং ওবায়দুল কাদেরসহ বর্তমান নেতৃত্বাধীন দলের নেতাদের বিচারেরও দাবি জানান।
তিনি বলেন, “মাফিয়াতন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের দল থেকে বহিষ্কার করে, পরিচ্ছন্ন কারোর হাতে নেতৃত্ব দিলে হয়তো এক বা দুই যুগ পরে আওয়ামী লীগ দেশে রাজনীতির মাঠে ফিরে আসতে পারে। তবে, আপাতত এ ধরনের কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।”
শারমিন আহমদ আরও বলেন, “আমার মা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দলের হাল ধরেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে দলটি হাইজ্যাক হয়ে একটি পরিবারের হাতে বন্দি হয়ে যায়। বর্তমান পরিস্থিতি আরও ভিন্ন। গণঅভ্যুত্থানের সময় অনেক তরুণের মৃত্যু, জনগণের ওপর আঘাত, এবং মানুষের দেহে এখনো বুলেটের চিহ্ন। আমরা কেন আওয়ামী লীগে যাব? এই আওয়ামী লীগ তো এখন মাফিয়া লীগে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের আওয়ামী লীগ আমরা কেন সমর্থন করব, যাদের মধ্যে কোনো অনুশোচনা নেই?”
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের ভালো লোকগুলোকে একত্র করে, জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মাফিয়া লীগের নেতৃত্বে যারা ছিল তাদের বহিষ্কারের দাবি জানাতে হবে। শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের কারোরই আর দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই। আমি মনে করি, শেখ পরিবারের কেউই আর রাজনীতিতে ফিরে আসবেন না।”
জাতির পিতার প্রশ্নে শারমিন আহমদ বলেন, “জাতির পিতা বলার আগে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধে কার কী ভূমিকা ছিল সেটি বিবেচনা করা উচিত। এটা জনগণই নির্ধারণ করবে। মুক্তিযুদ্ধের আসল ঘটনা সামনে এলে জনগণই বিচার করবে, কার ভূমিকা কী ছিল। জনগণ যদি মনে করে শেখ মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, তাহলে তারাই সেটি নির্ধারণ করবে। আর যদি তা মনে না করে, তবে সেটি হবে না।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
