সিবিএন ডেস্ক
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, কিছু ব্যাংকে ডুয়েল কারেন্সি কার্ড ব্যবহার করে ফেসবুক অ্যাড ম্যানেজারের মাধ্যমে বেআইনিভাবে লেনদেন করা হচ্ছে। এ ধরনের লেনদেনের মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ব্যাংকগুলোর সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ছে বলে আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবৃতিতে জানানো হয়, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় থেকে দেশের ব্যাংকগুলোর গ্রাহকদের হয়রানি করছে। বিশ্বব্যাপী সাইবার আক্রমণের হার ক্রমেই বাড়ছে এবং বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতেও ম্যালওয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের সাইবার আক্রমণের শিকার হওয়ার ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব আক্রমণ প্রতিরোধে ব্যাংকগুলোকে ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে যেকোনো ডেটা লঙ্ঘন বা র্যানসমওয়্যার আক্রমণের ঘটনা অবিলম্বে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। প্রতিটি লেনদেন যাচাইয়ের জন্য বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এবং সিভিভি যাচাইসহ ওটিপি ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংক কর্মচারীদের ভুয়া কিউআর কোড বিষয়ে সচেতন করতে বলা হয়েছে।
দ্বৈত সুরক্ষা (2FA/MFA) প্রয়োগ, এআই এবং মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে অস্বাভাবিক লেনদেন চিহ্নিতকরণ, এবং বিন ডেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধে বিন ডেটা সীমিত করা ও নিরাপদ রাখতে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সরঞ্জাম ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য ফায়ারওয়াল, অনুপ্রবেশ শনাক্তকরণ ব্যবস্থা, এবং অ্যাক্সেস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার পর্যালোচনা ও আধুনিকায়নের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকের কর্মীদের নিয়মিত নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ এবং ফিশিং ইমেল বা সন্দেহজনক লিংকের বিরুদ্ধে সচেতন করার বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, সফটওয়্যার আপডেট এবং ব্যাংকগুলোর ওয়েবসাইট ও ক্লাউড সিস্টেমের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।