নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার থানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী ঘোনা পাড়া নামক এলাকার মো : আব্দুল গফুর ওরফে গাল গফুর নিজ বাড়ির একটু দূরে গো খাদ্যের জন্য খড় সংগ্রহ করতে যায়। এই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার হামিদ নামের এক ব্যক্তি আব্দুল গফুরকে পরিকল্পিত ভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দিয়ে ও বেদম মারধর করে হত্যা করে বলে অভিযোগে জানা যায়।

শনিবার (২ নভেম্বর) মধ্য রাত আনুমানিক ২ টা ৩০ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার থানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলী ঘোনা পাড়া নামক এলাকার মো : আব্দুল গফুর ওরফে গাল গফুরকে নিজ বাড়ির একটু দূরে গো খাদ্যের জন্য খড় সংগ্রহ করতে যায়। এই সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই এলাকার হামিদ নামের এক ব্যক্তি আব্দুল গফুরকে পরিকল্পিত ভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট দিয়ে ও বেদম মারধর করে হত্যা করে বলে অভিযোগে জানা যায়।

অভিযোগে জানা যায়, শনিবার রাত আনুমানিক ২ টা ৩০ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার থানা সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলী ঘোনা পাড়ার বাসিন্দা মৃত মো: জালাল আহমদের পুত্র মো : আব্দুল গফুর প্রকাশ গাল গফুর (৫২) নিজের গরুর জন্য গো খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য বাড়ী থেকে একটু দূরে পার্শ্ববর্তী তার প্রতিবেশী আব্দুল হামিদের বাড়ির কাছাকাছি স্থানে যায়। এই সময় আব্দুল গফুর এর উপস্থিতি টের পেয়ে তার প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ (৪২) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে শর্ট সার্কিট দেয়। এক পর্যায়ে তার মৃত্যু হয়নি দেখে, পিটে ও মাথায় বেদম মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে আব্দুল গফুর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

উল্লেখ্য যে, সকাল ৯ ঘটিকার সময় রামু থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মৃত আমির হোসনের পুত্র জাকারিয়া ও শামসুল আলমের পুত্র জসিম উদ্দিন জানিয়েছেন, নিহত আব্দুল গফুরের গায়ে মারধরের এবং বৈদ্যুতিক শর্টের আঘাত রয়েছে। নিহত গফুরের সাথে হামলাকারী আব্দুল হামিদের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

রামু থানা অফিসার ইনচার্জ ইমন কান্তি চৌধুরী বলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের তুলাতলীর ঘোনা পাড়া এলাকা থেকে মো : আব্দুল গফুর প্রকাশ গাল গফুর (৫২) নামের এক ব্যক্তির মৃত দেহ, আমার থানাধীন গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যগণ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিহতের মৃতদেহটি উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। মরদেহটি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের পর, হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।