সিবিএন ডেস্ক

রবিবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদের এলডি হলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আলী রিয়াজ জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিবর্তে সংবিধান সংস্কারের জন্য তাদের লিখিত প্রস্তাব চাওয়া হবে।

আলী রিয়াজ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট ছাড়া সংবিধান প্রণয়নের সঠিক সুযোগ নেই। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হলে ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এই গণঅভ্যুত্থান ছাড়া কমিশনের অস্তিত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হতো।

তিনি জানান, সংবিধান নিয়ে কমিশনের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন এবং নিজ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি সংবিধান সংস্কারের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছেন। কমিশনের কোনো অভিজ্ঞতার অভাব নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আরও জানান, সংসদের মেয়াদ ৪ বছর নির্ধারণের পাশাপাশি একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা, এ বিষয়েও স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

তিনি সংবিধান সংস্কারের সাতটি মূল উদ্দেশ্যের কথাও উল্লেখ করেন, যার মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রতিশ্রুত সমতা, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা, ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আলোকে অংশগ্রহণমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, জনগণের কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিরোধ, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের পৃথকীকরণ ও ক্ষমতার ভারসাম্য, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যকর স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করা।