সংবাদদাতা:
পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদুল ইসলামকে আটকের গুঞ্জন উঠেছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) রাতে তাকে সদর মডেল থানায় আটক করা হয়েছে বলে একটি সূত্র মারফত জানা গেছে।
রিপোর্ট লিখাকালে তিনি থানা হেফাজতের রয়েছেন।
তবে ওসি ফয়জুল আজিম নোমান জানিয়েছেন, খোরশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আছে, তা যাচাই করা হচ্ছে। এখনো আটক দেখানো হয়নি।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, খোরশেদুল ইসলাম পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি। সাবেক এমপি ও বহু অপকর্মের গডফাদার জাফর আলমের ‘ডান হাত’ হিসেবে এলাকায় তার পরিচিতি রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে তিনি সশস্ত্র ও সক্রিয় ভূমিকা রাখেন।
কলাতলীর একজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দিয়ে কক্সবাজারে অনেক অপকর্ম করেছেন খোরশেদুল ইসলাম। এছাড়া তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো অভিযোগের পাহাড়। অনুসন্ধান করলে সব বেরিয়ে আসবে।
এদিকে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা খোরশেদুল ইসলামকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে জোর তদবিরে নেমেছে একটি চক্র। তারা ইতোমধ্যে মোটা অংক নিয়ে থানায় যোগাযোগ শুরু করেছে। নেপথ্যে কাজ করছে শক্তিশালী একটি দালালচক্র। যদিওবা ওসি এসবের পাত্তা দিচ্ছেন না বলে জানা গেছে।
থানার ওসি ফয়জুল আজিম নোমান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোন নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার হবে না। আবার অপরাধীরাও পার পাবে না। ছাত্রজনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী স্বৈরাচার, আইনশৃঙ্খলা বিনষ্টকারী ও অপরাধীচক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।