দেশজুড়ে চলাচলকারী ১১২টি আন্তঃনগর ট্রেনের মধ্যে গত সেপ্টেম্বরে সর্বোচ্চ আয় করেছে একতা এক্সপ্রেস এবং সর্বনিম্ন আয় করেছে করতোয়া এক্সপ্রেস। উভয় ট্রেনই রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রেল ভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ রেলওয়ের রুট রেশনালাইজেশন সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস সেপ্টেম্বরে ৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা আয় করেছে। ট্রেনটির আসন সংখ্যা ১,২৩০-১,২৫৪। অন্যদিকে সান্তাহার-বুড়িমারী-সান্তাহার রুটে চলাচলকারী করতোয়া এক্সপ্রেস আয় করেছে ৩২ লাখ ৪২ হাজার টাকা, যার আসন সংখ্যা ৫৬৪।
পূর্বাঞ্চল জোনে কক্সবাজার-ঢাকা-কক্সবাজার রুটের কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেন ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা আয় করে পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ আয়কারী ট্রেন হয়েছে। একই জোনে ঢাকা-মোহনগঞ্জ-ঢাকা রুটের হাওর এক্সপ্রেস ৪৯ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আয় করে সর্বনিম্ন আয়কারী ট্রেন হিসেবে স্থান পেয়েছে।
যাত্রী ধারণ ক্ষমতার দিক থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বরেন্দ্র, তিতুমীর এবং ঢালারচর এক্সপ্রেস গড়ে ১১৮ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করেছে, যা এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ। বনলতা এক্সপ্রেস ৯৮ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে, যা পশ্চিমাঞ্চলে সর্বনিম্ন।
পূর্বাঞ্চল জোনে এগারসিন্ধু গোধূলী ট্রেন গড়ে ১০৯ শতাংশ যাত্রী বহন করেছে, যা এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ। বিজয় এক্সপ্রেস গড়ে ৬৭ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করে, যা এই অঞ্চলে সর্বনিম্ন।
সভায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, সচিব আবদুল বাকী, এবং রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী উপস্থিত ছিলেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।