নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের ১০ নং ওয়ার্ডের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট উজ্জ্বল কান্তি দাশ’কে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০৩) নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। তাতে বিএনপি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাসহ জনমনে বিষ্ময় তৈরি হয়েছে। এমনকি বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, “পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশের হাত ধরে আওয়ামী রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এডভোকেট উজ্জ্বল কান্তি দাশ। দীপক দাশের বিরুদ্ধে রয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি গুলি চালানোর অভিযোগ। এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যা মামলার আসামীও এই দীপক দাশ। তারই অনুসারী ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এর আইন বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল কান্তি দাশ। বর্তমানে পলাতক আছে বলে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক দীপক দাশ। চট্টগ্রাম হাজারী গলিতে সংঘটিত ঘটনায় আটককৃতরা ঘটনার উস্কানিদাতা হিসাবে দীপকদাশের নাম বলেছে। তার অনুসারী উজ্জ্বল সহকারী পিপি’র মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পদে নিয়োগ পাওয়ায় স্যোশাল মিডিয়ায়ও সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার ঝড়।
এই বিষয়ে কক্সবাজার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ হোসেন বলেন, “এডভোকেট উজ্জ্বল কান্তি দাশ বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হয়ে কাজ করার পরও কিভাবে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হোন সেটা অত্যন্ত অবাক করা বিষয়। স্বৈরাচারের দোসর এবং তাদের যারা বৈধ করছে তাদের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান কঠোর। অনতিবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচির ডাক দিবো। আর এই সিদ্ধান্তের পেছনে কাদের হাত আছে তা খোঁজ নিয়ে তাদেরও দোসরের সহকারী হিসেবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অভিযোগ রয়েছে উজ্জ্বল কান্তি কক্সবাজার পৌরসভার বিভাগীয় বনকর্মকর্তার পাশে যে ঘরে বসবাস করেন সেটিও একটি সরকারী জমি।
অভিযুক্ত এডভোকেট উজ্জ্বল কান্তি দাশ গণমাধ্যমকে জানান, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন পদ পদবী ব্যবহার করে জায়গা দখল করেছিল রনজিত দাশ। তার মধ্যে আমারও একটি জায়গা তিনি দখল করেন। সেই জায়গার মালিকরা বর্তমানে কোর্টে এসে মামলা করছে। তিনি মনে করছেন আমিই সেই মামলাগুলো করাচ্ছি। যদিও ওকালত নামায় আমার কোনো সই স্বাক্ষরও নেই। তারই প্রেক্ষিতে হিংসাত্মক মনোভাব নিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে রনজিত দাশ ও বেন্টু দাশ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার যোগ্যতাবলে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর পদটি পেয়েছি, এই বিষয়টি সহ্য করতে পারছেন না তাঁরা। তাদেরই নির্দেশে আমার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নামে-বেনামের আইডি দিয়ে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে কিছু কুচক্রী মহল।” আপনি পৌর আওয়ামী লীগ এর ১০ নং ওয়ার্ডের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন? এমন প্রশ্ন করা হলে, বিষয়টি তিনি কৌশলে এড়িয়ে যান।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।