নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের সীমান্তে মিয়ানমারের ভেতরে মাইন বিস্ফোরণের এক বৃদ্ধের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুর ২ ঘটিকার সময় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের ভাজাবনিয়াস্থ সীমান্তের জিরো লাইনে এক বৃদ্ধ মাইন বিস্ফোরণ কবলে পড়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার জুমার নামাজ’র পূর্বে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরকান আর্মি (এ) সীমান্তের জিরো লাইনের চলাচলের রাস্তায় এসে বিভিন্ন জায়গাতে মাইন বসিয়ে চলে যায় বলে এপারের (ভাজাবনিয়া) এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা জানান।
জুমার নামাজ পরবর্তী হঠাৎ বিকট শব্দ হলে স্থানীয়রা দেখতে পাই এক বৃদ্ধ ওই স্থানে কাতরাচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ভাজাবনিয়ার মৃত আব্দু শুক্কুরের ছেলে আনুসহ দুই একজন গিয়ে আহত বৃদ্ধ নুরুল হককে উদ্ধারপূর্বক সিএনজি যোগে কুতুপালং এম এস এফ হসপিটালে নিয়ে যায়।
ঘুমধুম সীমান্তের ৩৩-৩৪ পিলারের মধ্যবর্তী জায়গায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আশংকাজনক অবস্থায় এই বৃদ্ধকে কক্সবাজারের উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাজাবুনিয়ার মৃত আব্দু শুক্কুরের ছেলে আনু জানান, দুপুর ২টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের ভাজাবনিয়াস্থ সীমান্তের জিরো লাইনে মাইন বিস্ফোরণ বৃদ্ধ নুরুল হক মাইন বিস্ফোরণের কবলে পড়ে বাম পা হারান। পরে ঘটনাস্থল থেকে আমরা কয়েকজনে তাকে উদ্ধার করে উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করি। তবে ওই বৃদ্ধ রোহিঙ্গা নাগরিক বলেও জানান।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহত বৃদ্ধকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।