বর্তমানে সেন্টমার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও, এনআইডি ও লিখিত অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। দ্বীপের বাসিন্দা ছাড়া অন্যরা আপাতত সেখানে বেড়াতে যেতে পারছেন না। নভেম্বর মাসে পর্যটকরা যেতে পারবেন বলে ঘোষণা দেয়া হলেও, থাকার অনুমতি নেই এবং দ্বীপে ভ্রমণের অনেক ব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।
দ্বীপের স্থানীয় ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এমন কড়াকড়ি আগে কখনো ছিল না, যা দ্বীপবাসীর মধ্যে সন্দেহ ও গুজবের পরিবেশ তৈরি করেছে। দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, এমনকি আত্মীয়রাও অনুমতি ছাড়া সেখানে যেতে পারছেন না। ফলে জীবন ও জীবিকার জন্য পর্যটন নির্ভর দ্বীপবাসী সংকটে পড়ছেন।
সেন্টমার্টিনের একমাত্র ২০ সজ্জার হাসপাতালে গত এক মাস ধরে কোনো ডাক্তার বা নার্স নেই, যার ফলে জরুরি চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। স্থানীয়রা বলছেন, চিকিৎসা সুবিধার অভাব দ্বীপবাসীর জন্য মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি করছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব সম্পর্কে সরকার জানিয়েছে, দ্বীপটি বিদেশীদের লিজ দেয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই এবং পরিবেশ রক্ষায় পর্যটন সীমিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, প্রবালের ক্ষয়ের কারণে দ্বীপটি রক্ষার জন্য সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে এবং ২০৪৫ সালের মধ্যে সেন্টমার্টিনের কোরাল সম্পূর্ণ ক্ষয় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ সংরক্ষণ ও টেকসই পর্যটন চালু রাখতে সরকার কাজ করছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।