রকমারি ডেস্ক:
জন্মহার কমে যাওয়া রুখতে নতুন এক উদ্যোগ নেওয়ার কথা চিন্তা করছে রাশিয়া। জনসংখ্যা বাড়াতে ‘মিনিস্ট্রি অব সেক্স’ চালু করতে পারে দেশটি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অনুগত এবং পরিবার সুরক্ষা, পিতৃত্ব, মাতৃত্ব ও শৈশব সম্পর্কিত রাশিয়ান সংসদের কমিটির চেয়ারম্যান নিনা ওসতানিনা এই ধরনের একটি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে একটি পিটিশন পর্যালোচনা করছেন।
এক প্রতিবেদনে এসব তথ্যই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেন যুদ্ধে সেনা হারাচ্ছে রাশিয়া। সে অনুযায়ী দেশটি পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে পড়তে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সে জন্য এখনই উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলছেন রুশ নীতিনির্ধারকেরা।
এর মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে পিটিশন করা হয়েছে। মস্কভিচ নামের একটি ম্যাগাজিনের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, এই পিটিশন দায়ের করেছে গ্ল্যাভপিআর নামের একটি সংস্থা। তারা মনে করছে, জনসংখ্যা বাড়াতে মন্ত্রণালয় থাকা দরকার।
জনসংখ্যা বাড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন পুতিনের কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত ক্রেমলিনের ডেপুটি মেয়র অ্যানাস্তাসিয়া রাকোভা। তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মিররকে বলেন, ‘সবাই জানে যে, নারীদের মধ্যে প্রজনন হার বাড়ানো ও গর্ভবতী হওয়ার যোগ্যতা বাড়াতে বিশেষ টেস্ট রয়েছে।’
‘মিনিস্ট্রি অব সেক্সের’ কাজ কী হবে?
যে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে তাতে বিভিন্ন প্রস্তাব আনা হয়। এতে বলা হয়, রাতের ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা যেতে পারে। এ ছাড়া এ সময় বন্ধ রাখা যেতে পারে আলোর ব্যবস্থাও। বাড়িতে থাকা নারীদের আলাদা করে ভাতা দেওয়া যেতে পারে।
একবার সন্তান নিলে ৫ হাজার রুবল পর্যন্ত ভাতার ব্যবস্থা রাখার সুপারিশও করা হয়। এ ছাড়া বিয়ের পর প্রথম রাতে বিশেষ কোথাও রাত কাটানোর জন্যও আলাদা খরচ দেওয়া যেতে পারে।
এর আগে গত বছর পুতিন বলেছিলেন, ‘পরিবার নিয়ে আমাদের দেশে যে প্রথা রয়েছে, তা অনেকেই মানেন। বিশেষ করে ৪, ৫ কিংবা এর বেশি সন্তান নেওয়ার বিষয়টি। তবে আমাদের দাদা–দাদীরা কিন্তু ৭–৮টা করে সন্তান নিতেন। আসুন, সেই ধারা ফিরিয়ে আনি। অনেক সন্তান নেওয়া, বড় পরিবার; যেন প্রথায় পরিণত হয়।’
ইউক্রেন যুদ্ধে দুই পক্ষেরই হতাহত বাড়ছে। এ কারণে দেশের নারীদের প্রত্যেককে ৮ কিংবা এর বেশি সন্তান নিতে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ ছাড়া পরিবার বড় করতেও বলেছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট বলছে, গত শতকের নব্বই দশক থেকেই রাশিয়ায় জনসংখ্যা তেমন একটা বাড়ছে না। তখন থেকেই দেশটিতে জন্মহার কম।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।