নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি;

বান্দরবান পার্বত্য জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় নাশকতার অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৬৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এই মামলায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯টায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন:
– নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাকঢালা বাজার এলাকার মো: সিরাজুল হক (৬০), মৃত আব্দুল জব্বারের পুত্র।
– নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের ৭নং ইউপি সদস্য, কম্বনিয়া এলাকার মো: আলী হোসেন (৪৩), মো: কাশেম আলীর পুত্র।
– নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চাকঢালা এলাকার মো: ফয়েজুল্লাহ (৪২), মৃত মৌলভী জাগের হোসেনের পুত্র।

এই মামলায় আসামি করা হয়েছে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফি উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ও দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো: ইমরান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো: আলম, আওয়ামী লীগ নেতা ও ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গির আজিজ, আওয়ামী লীগ নেতা ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছারসহ আরও নেতৃবৃন্দ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ৩০ জন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীও আসামি তালিকায় রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপির ২নং ওয়ার্ডের বিছামারা ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের সামনে দুষ্কৃতকারীরা রাস্তার ওপর ককটেল, পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অবস্থান করছিল। এ ঘটনায় পুলিশের অভিযানে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। পলাতক আরও ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২০-৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসরুরুল হক জানান, অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে। তাই দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ঠিক রাখা ও জনসাধারণের নিরাপত্তায় কাজ করছে প্রশাসন। নাইক্ষ্যংছড়িতে ও সেই লক্ষ্যে অভিযান চালানো হয়েছে।