ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, “ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসররা নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে।” তিনি মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “ফারুকীকে যদি প্রত্যাহার করা না হয়, তবে রাজপথে নামতে বাধ্য হবো। সবকিছুর ফয়সালা রাজপথেই হবে।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বাবুবাজারে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফয়জুল করীম বলেন, “মাফিয়াগোষ্ঠী দেশ ছেড়ে পালালেও তাদের দোসররা দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে এখনো সক্রিয়।”
তিনি বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্ট-পরবর্তী বৈষম্য দূর হবে, কিন্তু তা হয়নি। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও সিন্ডিকেট এখনো চলছে। অন্যায়-অত্যাচার এবং খুন-রাহাজানিও বন্ধ হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘু ইস্যুকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা এই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করেছে।”
ফয়জুল করীম অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আগামী নির্বাচনে পিআর (প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতি চালু করুন। এতে কালো টাকার ছড়াছড়ি ও নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হবে। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় রোধ হবে এবং জনতার প্রত্যাশা পূরণে আপনারা সফল হবেন।
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আমাদের শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়। কোনো গোষ্ঠী যেন বিশেষ সুবিধা না পায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।”
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সংগঠনের সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম। সভাপতিত্ব করেন কতোয়ালী থানা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবুল কাশেম। এছাড়া মাওলানা এ বি এম জাকারিয়া, আলহাজ আবদুর রহমান, ডা. মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, মাওলানা কে এম শরীয়াতুল্লাহসহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য দেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।