আহতদের একটি গ্রুপ বর্তমানে উপদেষ্টা বানানোর দাবি নিয়ে রাজপথে নেমে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় শুয়ে পড়বে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সেখান থেকে উঠবে না।

অভিযোগ উঠেছে, আহতদের মধ্যে অনেকেই ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তারা “আহত” সেজে হাসপাতালে থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু নেতা হাসপাতাল থেকে সুস্থ ঘোষণা পাওয়ার পরও হাসপাতাল ছাড়েনি। বরং তারা দিনভর বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশ নিয়ে রাতে হাসপাতালে ঘুমাচ্ছে।

এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, দুইটি মূল উদ্দেশ্য কাজ করছে:

১. ছাত্রলীগের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে, জনগণের মধ্যে সরকারের প্রতি চিকিৎসা অবহেলার ধারণা তৈরি করা।

২. সরকার কর্তৃক আহতদের আর্থিক সহায়তা ও সুবিধা নিশ্চিত হলে, এতে ব্যক্তিগত আর্থিক স্বার্থসিদ্ধি।

অনলাইনে বিশেষত আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পেজ থেকে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, আহতরা চিকিৎসা পাচ্ছে না। এতে সাধারণ মানুষের সহানুভূতি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। তবে এই দাবিগুলোর সত্যতা যাচাই না করেই মিডিয়া তা প্রচার করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সরকারকে এই নাটকীয়তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে, “আহত লীগ” নামে পরিচিত এই গোষ্ঠী সরকারের জন্য নতুন সংকট তৈরি করতে পারে।

সরকারের সমালোচকরা বলছেন, আহত অবস্থায় উপদেষ্টা হওয়ার দাবি করা বা সুস্থ থেকেও হাসপাতালে থাকার এই নাটক এক ধরনের আবেগের ব্যবসা। এটা সাধারণ মানুষের সহানুভূতি কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা।

মিডিয়া ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে, আবেগের ভিত্তিতে খবর প্রকাশ না করে সরেজমিনে যাচাই করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে।

এই পরিস্থিতি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত বহন করে। সরকারকে সতর্ক থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।