সিবিএন ডেস্ক:
গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শেখ হাসিনা সরকারের আমলে প্রভাবশালী ২২ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তালিকায় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা (ডিজিএফআই), জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম রয়েছে।
তদন্তে এ কর্মকর্তাদের আলোচিত “আয়নাঘর” নির্মাণ, গুম, ক্রসফায়ার, ও রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনে ভূমিকা রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে পাসপোর্ট অধিদফতরের সূত্র মতে, নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগেই বেশিরভাগ অভিযুক্ত দেশ ছেড়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ২২ জন কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়েছে, গুম সংক্রান্ত কমিশনের প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, যিনি ২০০৯-২০১১ সালে যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ সেলে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
অন্য অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের সাবেক প্রধান, র্যাবের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে থাকা ব্যক্তিরা। ইতোমধ্যে কয়েকজন অভিযুক্তকে সেনাবাহিনী থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গুম কমিশনের কার্যক্রম ফলপ্রসূ করতে এ কর্মকর্তাদের দেশত্যাগ ঠেকাতে পাসপোর্ট বাতিল অত্যাবশ্যক। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
তবে পাসপোর্ট অধিদফতরের সংশ্লিষ্টরা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানালেও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানিয়েছেন, নির্দেশ কার্যকর করতে প্রজ্ঞাপন জারি এবং তালিকা ইমিগ্রেশন ও পুলিশের বিশেষ শাখায় পাঠানোর কাজ চলছে।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হলেও অভিযুক্তদের অধিকাংশ ইতোমধ্যে বিদেশে পাড়ি জমানোর অভিযোগ উঠেছে, যা তদন্ত প্রক্রিয়ায় নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।