ইয়াছির আরাফাত খোকন
প্যারিস, ফ্রান্স:

ফ্রান্সের প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে আজ রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ১১টায় ই-পাসপোর্ট সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট চালু হয় এবং বর্তমানে এটি বিশ্বের ১১৯তম দেশ হিসেবে ই-পাসপোর্ট নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুছ ছালাম। দূতালয় প্রধান ওয়ালিদ বিন কাশেম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।

ই-পাসপোর্ট চালুর ফলে ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। এক প্রবাসী জাহাঙ্গীর জানান, আবেদন প্রক্রিয়া দ্রুত এবং সহজ হয়েছে। ২০-২৫ মিনিটে আবেদন সম্পন্ন হওয়ায় তিনি সন্তুষ্ট। ফ্রান্স বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম তাহের বলেন, “ইউরোপের অন্যান্য দেশে ই-পাসপোর্ট চালু থাকলেও ফ্রান্সে এটি চালু হওয়া প্রবাসীদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ।”

ই-পাসপোর্টের চিপে নাগরিক তথ্যসহ থাকবে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, মুখাবয়বের ছবি, চোখের আইরিসের তথ্য এবং স্বাক্ষর। এতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর নিরাপত্তা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। নতুন পাসপোর্টের ৪২টি নিরাপত্তা ফিচার রয়েছে, যা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্টের মর্যাদা বাড়াবে।

প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নুরুছ ছালাম জানান, আগামী জুন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন বন্ধ হবে। ই-পাসপোর্টের আবেদনকারীরা পাঁচ বা দশ বছর মেয়াদে ৪৮ ও ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

ই-পাসপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে প্রবাসীদের জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট কার্যক্রম সহজ এবং নিরাপদ হবে।

ফ্রান্সসহ ৪৬টি মিশনে ই-পাসপোর্ট চালুর মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ মিশন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।