ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এবং হতাহতের ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষার্থী ও সাধারণ প্রত্যক্ষদর্শীরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেছেন।
স্থানীয়দের দাবি, একদিন আগেই ঘোষণা দিয়ে একদল শিক্ষার্থী এসে কলেজে ভাঙচুর চালায়, কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছুই করেনি। তারা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নেওয়ার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পুলিশ প্রধানের এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষের কারণ ও প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা এসব দাবি করেন। ড. মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থী হামিমুল কবির জানান, তাদের কলেজের সামনে অবস্থান নেয়ার পর হঠাৎ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়, যার ফলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হন এবং অনেক সহপাঠী আহত হয়।
আব্দুল হাকিম নামে আরেক শিক্ষার্থী জানান, এই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে, যেখানে মোল্লা কলেজের এক শিক্ষার্থী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে ২৫টি কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়, কিন্তু সোহরাওয়ার্দী কলেজের কিছু শিক্ষার্থী তাদের বিরুদ্ধে চলে যায়, যা সংঘর্ষের সূত্রপাত করে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান জানান, সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা মোল্লা কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট ও ল্যাব তছনছ করেছে, এবং কলেজের ভেতরে কিছুই অক্ষত নেই। তিনি প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, যদি তারা সময়মতো পদক্ষেপ নিত, পরিস্থিতি এতো খারাপ হতো না।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী মুক্তার আলী বলেন, একদিন আগেই ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা হামলা চালিয়েছে, এবং প্রশাসন কিছুই করেনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, রাষ্ট্রের কি কিছুই করার ছিল না বা তারা দুই পক্ষের মারামারি দেখে মজা নিয়েছে?
প্রত্যক্ষদর্শীরা সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে পুলিশ প্রধান ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি করেন, তাদের মতে, প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আজ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।