সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে অনুমতি

কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ নামে একটি জাহাজ চলাচলের অনুমতি পেয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

সোমবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, নিজাম উদ্দিন আহমেদ, এই অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের কাছে শুধুমাত্র পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজটি চলাচলের জন্য আবেদন করেছিল এবং সেই জাহাজকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, দ্বীপে যাত্রা কখন শুরু হবে, তা মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি চূড়ান্ত করবে।

মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নীলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী জানান, ২৭ নভেম্বর কমিটির বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, কোন স্থান থেকে জাহাজটি ছাড়বে। আপাতত কেবল কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজের আবেদন ছিল, এবং সেই জাহাজকেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে নাফ নদী বর্তমানে অনিরাপদ হয়ে উঠেছে, তাই ইনানী অথবা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া থেকে সেন্টমার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯ নভেম্বর, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং কক্সবাজার থেকে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপগামী জাহাজ চলাচলের জন্য দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কমিটিতে রয়েছে টেকনাফ ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় বা ট্যুরিজম বোর্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের কক্সবাজার প্রতিনিধি, কোস্টগার্ডের কক্সবাজার প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশ-কক্সবাজারের প্রতিনিধি এবং পরিবেশ অধিদপ্তর-কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক।