নিজস্ব প্রতিবেদক :

বাংলাদেশের সনাতনি হিন্দু নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ অভিযোগে মামলা চলছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ইসকনের (ISKCON) বাংলাদেশ শাখা থেকে তিনি ৪ মাস আগেই ‘বহিষ্কৃত’ ছিলেন। যদিও তার গ্রেফতারের পর ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে জমায়েত।

জানা যায়, বাংলাদেশে ইসকনের সংগঠকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী। ভক্তরা তাকে ডাকেন ‘চিন্ময় প্রভু’ নামে। কিন্তু সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপের কারণে তিনিসহ ইসকনের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে চট্টগ্রামের পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌরদাস ও সদস্য স্বতন্ত্র গৌরাঙ্গ দাসকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছিলেন চট্টগ্রামের হাজারি গলির ঘটনা প্রসঙ্গে গত ৯ নভেম্বর রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন আশ্রমে ‘ইসকন বাংলাদেশ’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী। এছাড়াও কলকাতার জনপ্রিয় পোর্টাল কলকতা ২৪×৭ ও এ তথ্য জানান।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) থেকে বহিষ্কার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে। এরপর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠনের তরফে ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট’ মুখপাত্র করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে। তিনি একজন বিতর্কিত ব্যক্তি বলে নানা অভিযোগ।

বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করেছিল। ওই সমাবেশের পর্ চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ আনা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন প্রাক্তন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান। জানা গেছে, এই মামলায় জেরা করতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময়কৃষ্ণকে। তিনি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য বিমানের টিকিট কেটেছিলেন।

বিমানবন্দর থেকে চিন্ময়কৃষ্ণকে গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সনাতনী জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। তারা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। তারা শাহবাগে অবস্থান জমায়েত করবেন বলে জানান।

বাংলাদেশে গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। অভিযোগ এরপর থেকে লাগাতার জমায়েত করে উস্কানিমূলক ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস।