ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের পর তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটিতে সারজিস আলমসহ ৪৫ তরুণকে যুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দিন পাটোয়ারী এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বর্ধিত কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের স্পিরিটকে সমুন্নত রাখতে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটি বর্ধিত করার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নিম্নোক্ত ব্যক্তিদের ‘কেন্দ্রীয় সদস্য’ ঘোষণা করা হলো।”

সারজিস আলম, আলী আহসান জোনায়েদ, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোহাম্মদ এজাজ, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, কৈলাশ চন্দ্র রবিদাস, রাফে সালমান রিফাত, উশ্যেপ্রু মারমা, উম্মে হাবিবা বেনজির, মীর আরশাদুল হক, আলী নাছের খান, মামুনুর রশীদ, আবু সাঈদ লিওন, সাকিব মাহদী, জোবাইরুল হাসান আরিফ, সৈয়দা নীলিমা দোলা, শরিফ ওসমান হাদি, আলী আম্মার মুয়াজ, আরেফিন মোহাম্মদ, ভীম্পাল্লী ডেভিড রাজু, কৃষিবিদ গোলাম মর্তুজা সেলিম, সোনামণি কর্মকার, ডা. মিনহাজুল আবেদীন, সাইদ উজ্জ্বল, মো. বুরহান উদ্দিন নোমান, মো. রাকিব হোসেন, মো. আরিফুর রহমান (তুহিন), রাফিদ ভুঁইয়া, জয়নাল আবেদীন শিশির, জনি আকন্দ, মিয়াজ মেহরাব তালুকদার, মো. নাইম আহমাদ, সাগর বড়ুয়া, প্লাবন তারিক, এম ওয়ালি উল্লাহ, মোশফিকুর রহমান জোহান, সাদিয়া ফারজানা, সাইফুল্লাহ হায়দার, মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক এহছান, এহতেশাম হক, অরণি সেমন্তি খান, মাহবুব আলম মাহির, ডা. আশরাফুল আলম সুমন, দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে গঠিত হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি। নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও আখতার হোসেনকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। পরে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়। সামান্তা শারমিনকে কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে এবং বাকি ৫২ জনকে কমিটির সদস্য করা হয়।