নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রাম নগরীতে পরিচ্ছন্ন ভাব আনতে মাথার ওপর থেকে তারের জঞ্জাল সরানো হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, মাথার ওপর ঝুলে থাকা বিভিন্ন তারের জঞ্জাল সরিয়ে রাস্তার নিচে নিয়ে যাওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। যাতে একটা পরিচ্ছন্নতা ভাব আসে।
তিনি বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর উত্তর চান্দগাঁও চৌধুরী পাড়া এলাকায় শরীফ খান স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মরহুম শরীফ উদ্দিন খানের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শরীফ খান স্মৃতি সংসদের সভাপতি ইফতেখার হোসেন খান আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আফছারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
শরীফের খানের স্মরণে বাড়ির রাস্তা তাঁর নামে করা হবে জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, শরীফ খানের স্মরণে তাঁর বাড়ির রাস্তা ‘শরীফ খান রোড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। কারণ তাঁর একটা স্মৃতি থাকা উচিত। এসব তৃণমূল নেতাকর্মীর অনেক অবদান আছে। বিগত ১৮ বছর নেতা কর্মীরা রাজপথে যুদ্ধ করেছে, মামলা খেয়েছে, জেল নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
চসিকের সকল পরিচ্ছন্নকর্মীদের মনিটরিংয়ের কথা জানিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রতিটি পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের আমি হাজিরা নিচ্ছি। তাদের সরব উপস্থিতি আছে কিনা, তারা আপনাদের সার্ভিস দিচ্ছে কিনা, কারণ তারা তো টাকা নিচ্ছে। যেহেতু টাকা নিচ্ছে তারা আপনাদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং মশা মারার যে স্প্রে সে কাজগুলো তারা করছে কিনা, এই মনিটরিংটা আপনাদের করতে হবে। এসব মনিটরিং না হলে তারা ফাঁকিবাজি করবে।
তিনি আরো বলেন, যেহেতু গত সরকারের আমলে অনেককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তারা রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়েছে। তাই তারা হয়তো বা কাজ নাও করতে পারে। এজন্য প্রত্যেকটি জায়গায় জনগণের সামনে তাদের দাঁড় করাচ্ছি। যাতে জনগণ বলে, পরিচ্ছন্নকর্মীরা কাজ করছে অথবা কাজ করছে না। আর কাজ না করার অভিযোগ পেলে আমি পরিবর্তন করে দিচ্ছি। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনারা আমাকে এ সহযোগিতা করবেন।
বর্জ্য অপসারণ প্রকল্পের কথা জানিয়েছে মেয়র বলেন, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি আমার সঙ্গে দেখা করেছে একটি বর্জ্য অপসারণ প্রকল্পের জন্য। এ বর্জ্য রিসাইক্লিং প্রসেসে জৈব স্যার, বায়ু গ্যাস অথবা বিদ্যুৎ হবে। এ ধরনের কিছু প্রজেক্ট আমরা হাতে নিচ্ছি, এক দুই বছর সময় লাগবে। কিন্তু একটা পার্মানেন্ট সলিউশন হবে। ওই ময়লা একটা সম্পদে পরিণত হবে। যেখানে ময়লা থাকবে সেখান থেকে কুড়িয়ে ওই জায়গায় নেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, শরীফ খানের অকাল মৃত্যু ছিল আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টের। বিএনপির রাজনীতিতে তিনি ছিলেন একজন ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ নেতা। বৃহত্তর চান্দগাঁও এলাকায় দলকে সুসংগঠিত করতে শরীফ খান গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তিনি গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার একদফার আন্দোলনে সাহসী নেতৃত্ব দিয়েছেন। শরীফ খান ছিলেন দল অন্তঃ প্রাণ নেতা। চট্টগ্রামে বিএনপির রাজনীতিতে শরীফ খান চিরস্বরণীয় হয়ে থাকবেন।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব আলম, নাজিম উদ্দীন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সি. সহ সভাপতি ইদ্রিছ মিয়া। বক্তব্য রাখেন শরীফ খান স্মৃতি সংসদের সহ সভাপতি এসকান্দর চৌধুরী, মাসুদ পারভেজ চৌধুরী, আলমগীর চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কফিল উদ্দিন চৌধুরী শুক্কুর, জসীম চৌধুরী, আজম চৌধুরী মানিক, বিএনপি নেতা চালামত আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ম হামিদ, সহ সাধারণ সম্পাদক জমির আহমদ মানিক, চান্দগাঁও থানা যুবদলের সাবেক আহবায়ক গোলজার হোসেন প্রমূখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।