শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে যুবদের উপস্থাপনায়

টেকনাফে “শিশু অধিকার নিশ্চিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ চাই” নাটক মঞ্চস্থ

প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:১৯

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
শিশু-শ্রম ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে তরুণ ও যুবদের উপস্থাপনায় DFAT-AHP অর্থায়িত সেন্ট্রালিটি অফ প্রোটেকশন ইন প্রোট্রাকটেড ক্রাইসেস (সিপিপিসি) প্রকল্পের অধীনে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও এফআইভিডিবি’র যৌথ উদ্যোগে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার ক্যাম্প-২৪ ও ২৫ এ “শিশু অধিকার নিশ্চিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ চাই”নামীয় নাটকটি ২৭ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হয়। উক্ত নাটকটি দেখতে সকল বয়সের নারী, পুরুষ, কিশোর-কিশোরী, শিশু ছাড়াও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্প ২৪ এ, প্রধান অতিথি ক্যাম্প ইনচার্জ খোরশেদ আলম চৌধুরী, (ক্যাম্প-২৪) এবং ক্যাম্প ২৫ এ প্রধান অতিথি সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম মির্জা (ক্যাম্প-২৫) উপস্থিত ছিলেন।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের “প্রকল্প সমন্বয়কারী- মোঃ সাহেল আহমেদ, শিশু সুরক্ষা বিষয়ক টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর- মোঃ শাহিন, শিশু সুরক্ষা বিষয়ক অফিসার শরিফা খানম, সৌরভ আহমেদ এবং কেস ম্যানেজমেন্ট অফিসার ফারজানা আক্তার।

প্রদর্শিত নাটকে শিশুশ্রমের বাস্তব তুলে ধরা হয়। এ প্রসঙ্গে
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ক্যাম্প ইনচার্জ খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন,“ শিশুরা একটি জাতির ভবিষ্যৎ। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তাদের শৈশব নানা সমস্যায় ভরপুর। শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন এমন দুটি মারাত্মক সমস্যা যা শুধু তাদের শৈশবকে কেড়ে নেয় না, বরং তাদের ভবিষ্যৎকেও অন্ধকারে ঠেলে দেয়। শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন তাদের শারীরিক, মানসিক, ও সামাজিক বিকাশের উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সহকারী ক্যাম্প ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম মির্জা বলেন, “এফআইভিডিবি ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল শিশু সুরক্ষা নিয়ে যে কাজ করে তা আমার দেখার সুযোগ হয়েছে। এখানে নাটকের মাধ্যমে তারা ভালোকিছু সচেতনমূলক বার্তা কমিউনিটিতে দেয় যা একটি সমাজ পরির্তনে কাজ করবে। আজকের শিশুরাই একদিন বড় হয়ে মায়ানমারে ফিরে যাবে তাই তাদের শিক্ষিত হওয়াটা জরুরী যাতে তারা আগামি দিনে নেতৃত্ব দিতে পারে।

নাটক শেষে,ফ্রেন্ডস ইন ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ সাহেল আহমেদ বলেন, “শিশু-শ্রম ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সামাজিক সচেতনতা তৈরিতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। শিশু নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা এবং সামাজিক মূল্যাবোধের অবক্ষয় রোধে সরকারি, বেসরকারি ও উন্নয়ন সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা কমিটিগুলো কার্যকর করতে হবে”।