সিবিএন ডেস্ক ;
মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ফলে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের প্রায় ২৭৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারের গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
আরাকান আর্মি মংডুর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর নাফ নদীর মিয়ানমারের অংশে নৌ চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। টেকনাফ ও আশপাশের এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানিয়েছেন, সীমান্তে যেকোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আরাকান আর্মি রাখাইনের বিভিন্ন এলাকায় জান্তা বাহিনীর ক্যাম্প দখল করে নিয়েছে। তারা পশ্চিমাঞ্চলের জান্তা বাহিনীর কমান্ড হেডকোয়ার্টারও নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। বিবিসি বার্মিজ জানিয়েছে, মংডুর বাইরে বর্ডার গার্ড পুলিশের একটি ব্যাটালিয়ন এবং আন অঞ্চলের ৩০টিরও বেশি সামরিক ক্যাম্পও আরাকান আর্মি দখলে নিয়েছে।
রাখাইনে আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ফলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেছেন, “রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ নতুন সংকটে পড়তে পারে।”
মিয়ানমারের অস্থিরতা সীমান্ত অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ফলে জান্তা-বিরোধী লড়াই এবং রোহিঙ্গাদের রাজনৈতিক অবস্থানের জটিলতা বাড়তে পারে, যা বাংলাদেশের নিরাপত্তা এবং কূটনৈতিক উদ্যোগে প্রভাব ফেলবে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।