খুলনা রেলওয়ে স্টেশন ভবনের প্রবেশদ্বারের ডিজিটাল স্ক্রিনে আকস্মিকভাবে ভেসে উঠলো একটি বার্তা:
“ছাত্রলীগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরে আসবে; জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু; শেখ হাসিনা আবার আসবে।”
এই বার্তাটি দ্রুত ভাইরাল হলে শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, সাধারণ শিক্ষার্থী, স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা স্টেশনে অবস্থান নেন। তারা স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা রনিকে অবরুদ্ধ করেন। উত্তেজিত জনতা স্টেশন মাস্টারসহ রেলওয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালায়।
পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাত সাড়ে ৯টায়, যখন স্ক্রিনের অপারেটর আসলাম হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন,
“জুলাইয়ের আন্দোলনের গণহত্যাকারী হাসিনা ও তার দোসররা এখনও সক্রিয়। তারা দেশের অশান্তি সৃষ্টি করতে এ ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।”
খুলনা সদর থানার ওসি তদন্ত শাহজাহান জানান,
“আসলামকে নিরাপত্তার স্বার্থে হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর কিছু ছাত্রলীগ নেতা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন। তারা বার্তাটি শেয়ার করে লিখেছেন:
“চিন্তা করবেন না, আমরা ফিরবই। জয় বাংলা।”
এদিকে খুলনা রেলওয়ে পুলিশের ওসি মো. ফেরদৌস আলম খান জানিয়েছেন,
“খবর পাওয়া মাত্রই ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রদর্শন বন্ধ করা হয়। সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ধরনের উসকানিমূলক প্রচারণা কার নির্দেশে এবং কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। একইসঙ্গে ঘটনাটি দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রতিফলন বলে মনে করছেন অনেকে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।