নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের দ্বি বার্ষিক (২০২৫-২০২৬) নির্বাচনে মাহবুব কামাল বাহারি প্যানেলের সকলেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে।

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রতিদ্বন্দ্বী আর কোন প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন কমিশন প্যানেলের সকলকেই নির্বাচিত ঘোষণা করেন।

বিকেলে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর এম আনোয়ারুল হক প্রতিটি পদের বিপরীতে একজন করে প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের অপর সদস্য রিদুয়ানুল হক উপস্থিত ছিলেন।

দ্বি বার্ষিক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন, সভাপতি মাহবুবর রহমান (সম্পাদক দৈনিক সৈকত), সহ সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ,(দৈনিক সংগ্রাম) সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী (নিউজ টু ডে) সহ সাধারণ সম্পাদক ইকরাম চৌধুরী টিপু (এনটিভি), অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হেলালী, (দৈনিক দিনকাল) সাহিত্য সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাসানুর রশীদ (বাংলাদেশ প্রতিদিন) ,ক্রীড়া সম্পাদক এম আর মাহাবুব (দৈনিক কালবেলা), পাঠাগার ও মিলনায়তন সম্পাদক আনছার হোসেন (দৈনিক আমার দেশ)।

নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন আতাহার ইকবাল, আবু ছিদ্দিক ওসমানী (সৈকত), শামসুল হক শারেক (দৈনিক ইনকিলাব), মোহাম্মদ হাশিম,(ভোরের ডাক) এম আর খোকন (বাংলা ভিশন), মোয়াজ্জেম হোসাইন সাকিল (এটিএন বাংলা) ও এসএম জাফর (দৈনিক রূপালী সৈকত)

এদিকে রবিবার বিকালে কক্সবাজার প্রেসক্লাব মিলনায়তনে নির্বাচিতদের শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা কারী আব্দুল খালেক নিজামী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আলহাজ্ব এসএম আমিনুল হক চৌধুরী।

উক্ত অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রফেসর এ.এম. আনোয়ারুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রার্থীদের শপথ বাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানের শেষে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা কারী আব্দুল খালেক নিজামী।

গেল ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ক্লাব কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু করেন আগ্রহী প্রার্থীরা। পরবর্তী ১৭ ডিসেম্বর মনোয়নয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশন। রবিবার ২২ ডিসেম্বর প্রেসক্লাবের দ্বি বার্ষিক নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন সম্পন্ন হয়।

উল্লেখ্য, গঠনতন্ত্রের ধারা- ৬ (নির্বাচন বিধি), উপধারা- ‘ঝ’ মোতাবেক ১টি পদের বিপরীতে একজন প্রার্থী হওয়ায় এবং কোনো প্রতিদ্বন্ধী না থাকায় নির্বাচন কমিশন তাদের বিজয়ী ঘোষণা করেন।