সিবিএন ডেস্ক ;
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত চরফ্যাশনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ঢালচরের তারুয়া সমুদ্র সৈকত এখন পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় একটি গন্তব্য। চারদিকে নদী বেষ্টিত এই সৈকতটি লাল কাঁকড়া ও পাখিদের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ ও শান্ত পরিবেশের তারুয়া সৈকতে পর্যটকদের অবাধ বিচরণের কারণে লাল কাঁকড়ার অবাধ চলাচল কমে গেছে। একই সঙ্গে পাখিরাও স্বস্তিতে বিচরণ করতে পারছে না। এর ফলে দ্বীপটির জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হুমকির মুখে পড়েছে।
তারুয়া সৈকতে পর্যটকদের জন্য নেই কোনো সরকারি নির্দেশনা বা বিধিনিষেধ। ফলে কাঁকড়া ধরা ও পাখিদের বিরক্ত করার মতো কাজগুলো দ্বীপটির পরিবেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো পর্যটক তারুয়া সৈকতে ভিড় করছেন। কিন্তু সেখানে নেই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় একটি অস্থায়ী ঘর তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, কাঁকড়া ও পাখিদের তাদের স্বাভাবিক পরিবেশে থাকতে দেওয়ার প্রয়োজন। অথচ বর্তমানে পর্যটকদের ফ্রি-স্টাইল আচরণ ও রাত্রিযাপন পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।
দক্ষিণ থেকে দৈর্ঘ্যে প্রায় ২ কিলোমিটার এবং প্রস্থে ১ কিলোমিটার এই সৈকতটি সাদা বালি, লাল কাঁকড়া এবং পাখিদের কোলাহলে ভরপুর। সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য অনন্য এক অভিজ্ঞতা হয়ে ওঠে।
ঢালচরের স্থানীয়রা মনে করেন, তারুয়া সৈকতকে সরকারিভাবে পর্যটন এলাকা ঘোষণা করা উচিত। এতে পর্যটকদের জন্য সুরক্ষিত পরিবেশ তৈরি হবে এবং দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তারুয়া সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে কুয়াকাটা ও কক্সবাজারকেও হার মানাতে পারে। কিন্তু পরিবেশ রক্ষায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে এই মনোরম স্থানটির নৈসর্গিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে যেতে পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।