আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৩.৯ বিলিয়ন পাউন্ড (প্রায় ৫.২ বিলিয়ন ডলার) অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা অফিসের প্রোপ্রাইটি অ্যান্ড এথিকস টিম (পিইটি)।
দ্য সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) টিউলিপ সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তার বক্তব্যে রূপপুর প্রকল্পের বিষয়ে কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টিউলিপের দেওয়া ব্যাখ্যা গ্রহণ করা হয়েছে, এবং তার বিরুদ্ধে কোনো সিভিল সার্ভিস তদন্তের আভাস পাওয়া যাচ্ছে না।
টিউলিপ সিদ্দিক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সচিব এবং সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে অভিযোগ উঠেছে, ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে রূপপুর প্রকল্পের আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছিলেন তিনি। ওই সময় তিনি কোনো সরকারি দায়িত্বে ছিলেন না।
সূত্র জানায়, টিউলিপ নিজেকে “রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার” বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, দশ বছর আগে মস্কো গিয়েছিলেন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কারণে, এবং কোনো চুক্তি আলোচনায় অংশ নেননি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টিউলিপসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। তদন্তের ভিত্তিতে এফআইআর জারি হলে টিউলিপ আনুষ্ঠানিক সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত হবেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার টিউলিপের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন। তবে অভিযোগের কারণে শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে টিউলিপের সম্পর্ক ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার জন্য বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, যা শেখ হাসিনার সরকারের সময় সম্পন্ন হয়েছিল। অভিযোগগুলো তদন্তাধীন থাকলেও, টিউলিপ সিদ্দিক কোনো ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।