টেকনাফ প্রতিনিধি;
কক্সবাজারের টেকনাফ বন বিভাগের পাহাড়ে কাজ করার সময় ১৯ জন শ্রমিককে অপহরণ করেছে সন্ত্রাসীরা। তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জনপ্রতি ১ লাখ টাকা করে মোট ১৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীদের পরিবার।
ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপহৃতদের সন্ধান মেলেনি ঘটনার ১২ ঘণ্টা পার হলেও। তাদের উদ্ধারে যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অপহৃতদের মধ্যে একজন ফরেস্টারসহ আরও ১৮ জন রয়েছেন।
অপহৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: ফরেস্টার সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ, রফিক, আইয়ুব খান, আনসার উল্ল্যাহ, আয়াত উল্ল্যাহ, সামছু ও নূর মোহাম্মদ। জানা গেছে, তাদের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গা।
অপহৃত সাইফুল ইসলামের বাবা জুহুর আলম বলেন, “আমার ছেলেকে জীবিত পেতে ১ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানিয়েছে ডাকাত দল।” একই ধরনের কথা বলেন আনসার উল্ল্যাহ ও আয়াত উল্ল্যাহর মা।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, “গহিন পাহাড়ের কারণে উদ্ধার অভিযান কঠিন হচ্ছে, তবে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
টেকনাফের বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ জানান, “আমাদের ১৯ জন শ্রমিক অপহরণের ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।”
আজ মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে হোয়াইক্ষ্যং-শামলাপুর সড়ক অবরোধ করে আরও ৭ জন কৃষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, “উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। ইনশাআল্লাহ দ্রুত সফলতা আসবে।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।