আবুল কাশেম, রামু:
বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল বলেছেন, সাধারন জনগণই মূল শক্তি। যে দলের সাথে এদেশের জনগন আছে, সেই দল আল্লাহ ব্যতিত কাউকে ভয় পায়না। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিএনপির বিরুদ্ধে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, বর্তমানেও হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার শহীদ জিয়ার স্মৃতি বিজড়িত বাড়ি থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দিয়েছিলো। মিথ্যা মামলায় দেশ নেত্রীকে দীর্ঘদিন কারাভোগ করিয়েছে। দলের ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে অবৈধভাবে সাজা দিয়ে দেশে আসতে দেয়া হয়নি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা দিয়েছে ঘরছাড়া করেছিলো। শত শত নেতা কর্মীকে খুন ও গুম করেছে। ছাত্র -জনতার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছুড়ে মায়ের কোলে দুগ্ধপানরত শিশুকে হত্যা করেছে। আল্লাহর মাইর বড় মাইর, এদেশের ক্ষমতার মালিক জনগনই ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।

রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে সাবেক এমপি কাজল এসব কথা বলেন। রবিবার, ৫জানুয়ারি বিকালে জোয়ারিয়ানালা হাজী মোহাম্মদ সাঁচি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত এ জনসভায় সভাপতিত্ব করেন- জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন বিএনপি’র আহবায়ক গোলাম কবির সওদাগর। সম্মেলন ও কাউন্সিলের শুভ উদ্ভোধন করেন রামু উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার আহমদ। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন- উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল বশর বাবু।

সমাবেশে সাবেক সাংসদ কাজল আরও বলেন- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রবর্তন, জনশক্তি রপ্তানি করে রেমিটেন্স আয়, রাবার বাগান সৃজন, জাহাজে করে সমুদ্রে মৎস্য শিকার, খাল খননের মাধ্যেমে জমিতে দু-মৌসুমী চাষাবাদের প্রথা চালু করেন। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, বিনামুল্যে মেয়েদের পড়া লেখার প্রকল্প চালু করেন। অন্যদিকে আওয়ামীলীগের রাজনীতি ছিলো গনতন্ত্র হত্যার রাজনীতি। ২০১৪ সালে আজকের এই দিনে বিনাভোটে দেশে ১৫৩ জন বিকাশ এমপি উপহার দিয়েছিলেন তারা।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কাজল বলেন- বিএনপি রাজনীতি করে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, মানুষের কল্যাণের জন্য। বিএনপিতে কোন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও খারাপ মানুষের স্থান নেই। শহীদ জিয়ার আদর্শে বলিয়ান হয়ে নেতাকর্মীর ঐক্যেবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন- দেশনায়ক তারেক রহমান ঘোষনা দিয়েছেন নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তাই ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সকল দলকে ঐক্যেবদ্ধ থেকে দেশবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

সমাবেশকে ঘিরে দুপুর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে হাজারো নেতাকর্মী মিছিল সহকারে সভায় অংশ গ্রহন করে। বিশেষ করে শত শত মহিলা নেতাকর্মীর উপস্থিতি পুরো সমাবেশ মুখরিত করে তোলে।

সদস্য সচিব এনাম উল্লাহর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- রামু উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাবেক সাধারন সম্পাদক মেরাজ আহমদ মাহিন চৌধুরী, ফোরকান আহমদ, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি জাবেদ ইকবাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা নুরুল আবছার, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী খান, আলহাজ্ব ফরিদুল আলম, এসএম ফরিদুল আলম, মুসলেহ উদ্দীন চৌধুরী, আবদুল করিম কোম্পানঅ, কাজী এম. আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল করিম চেয়ারম্যান, রাশেদ সিকদার, সাংবাদিক আবুল কাসেম, নাসির উদ্দিন, কামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, রামু উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক শাহনুর উদ্দিন বাবু, মনজুর আলম, বিএনপি নেতা, জয়নাল আবেদীন আতিকুল হক, এডভোকেট জালাল উদ্দিন রনি, আবদুর রহিম, আবু তাহের সিকদার, ইঞ্জিনিয়ার মীর কাসেম, শফিকুর রহমান, মুবিনুল হক, গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান, নজুরুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, মো. আলী, আলী মিয়া, আবদুচ্ছালাম, মুফিজ আলম, আবদুর রশিদ, ইমরানুল হক ইমরান, আবদু শুক্কুর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক আনছারুল হক, রামু উপজেলা যুবদলের আহবায়ক জহির আলম, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, উপজেলা যুবদলের সভাপতি জাহেদুল আলম, সাধারন সম্পাদক হেফাজ উদ্দিন, যুবদল নেতা এইচএম মাসুদ, হেমসেল সরওয়ার, উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আনোয়ারুল হক সিকদার, উপজেলা মহিলা দলের আহবায়ক রাবেয়া বসরী, মহিলা দলনেত্রী জেসমিন আক্তার, শফিকা আক্তার, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ছানা উল্লাহ সেলিম, যুগ্ন আহবায়ক নুরুল আমিন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেকদলের আহবায়ক শাহাজান লুতু, সদস্য সচিব এরশাদ উল্লাহ প্রমুখ।