সংবাদদাতা;
চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড)-এ তিনটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল এবং বেপজা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে বেতন বৃদ্ধি ও অন্যান্য দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মডিস্ট, জেএমএস এবং মেরিমো কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে লিপ্ত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, শ্রমিকরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালান।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, “কারখানার মূল গেট খোলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষের সৃষ্টি। এতে অন্তত ৩০ জন আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। তবে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সিইপিজেড নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, “জেএমএস ও মেরিমো কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। একটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, অন্য কারখানায় দুপুরের পর ছুটি দেওয়া হবে।”
চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়,
১২টার পর থেকে আহত শ্রমিকদের হাসপাতালে আনা শুরু হয়। তাদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও এখনো তাদের নাম-পরিচয় নথিভুক্ত করা হয়নি।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকরা ৯ শতাংশ বাৎসরিক বেতন বৃদ্ধিসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন। কিছু কারখানা তাদের দাবি মেনে নিলেও বাকিদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এর জের ধরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এবং সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, শিল্প পুলিশ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সংঘর্ষের কারণ ও দায়ীদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।