সংবাদদাতা ;
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে হত্যার পেছনে চাচার খুনের প্রতিশোধের গল্প উঠে এসেছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে ৯ জানুয়ারি এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) মৌলভীবাজার থেকে গ্রেফতার হওয়া তিনজনের কাছ থেকে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয়: ঋতু (২৪), পিতা মো. সেলিম আকন্দ, খুলনার দেওয়ান মোল্লাপাড়া।শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭), পিতা জামাল শেখ, একই এলাকা। গোলাম রসুল (২৫), পিতা মো. হায়দার সরদার, মধ্য কারিগর পাড়া।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ২০১৩ সালে চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির নেতা হুজি শহীদুলকে হত্যায় জড়িত ছিলেন গোলাম রব্বানী টিপু। শহীদুলের ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু সেই হত্যার প্রতিশোধ নিতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পিতভাবে কক্সবাজারকে হত্যার স্থান হিসেবে বেছে নেয়া হয়। ঋতু নামের এক নারীকে ব্যবহার করে টিপুর গতিবিধি নজরদারি করা হয়। পাপ্পু ও গোলাম রসুল কক্স কুইন রিসোর্টের ২০৮ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। হত্যার পর ব্যবহৃত অস্ত্র ওই কক্ষের চিলেকোঠায় ফেলে পালিয়ে যান তারা।
পুলিশ অস্ত্র সরবরাহকারীদের খুঁজছে। একই সঙ্গে কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টো ও খুলনার সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর উপস্থিতি নিয়েও তদন্ত করছে।
হত্যার পরদিন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ অজ্ঞাত পরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, “স্থানীয় আধিপত্য এবং প্রভাব বিস্তারও এই হত্যার পেছনের অন্যতম কারণ।” হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।